বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই সপ্তাহে ডেঙ্গু শনাক্ত ৩২৪৪

  •    
  • ১৪ আগস্ট, ২০২১ ১৭:০৮

চলতি বছর এ নিয়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হলো ৫ হাজার ৯০২ জনের শরীরে। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪ হাজার ৮৩৮ জন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ৪০ জন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে দেশে নতুন আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু। চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ২৪৪ জনের দেহে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শনিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৫৭ জন।

গত জানুয়ারিতে ৩২ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বছর শুরু হয়েছিল। জুনে এটা ১৭২ জনে ওঠে। জুলাই মাসে সেটিই হয়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৮৬ জন। তাতে সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথম সাত মাসে ডেঙ্গুতে মোট শনাক্ত দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৫৮ জন।

জুলাই থেকেই পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে। আগস্টে এসে চিত্রটি আরও উদ্বেগজনক হয়ে পড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গত এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে ঢাকা বিভাগের হাসপাতালগুলোতেই ভর্তি হয়েছেন ২১৯ জন। অন্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি ৩৮ জন।

চলতি বছর এ নিয়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হলো ৫ হাজার ৯০২ জনের শরীরে। এসব রোগীর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪ হাজার ৮৩৮ জন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ৪০ জন।

এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯৫৪ ডেঙ্গু রোগী। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চলতি বছর ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০১৯ সালে ডেঙ্গু রোগে ১৭৯ জনের মৃত্যু ও লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর গত বছর সতর্ক অবস্থানে ছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তারপরও ২০২০ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৪০৫ জন, যাদের মধ্যে ৬ জন মারা যান। গত বছর সংক্রমণের মাত্রা কম থাকলেও এ বছর পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড মহামারির মধ্যে করোনা ও ডেঙ্গু নিয়ে যেসব রোগী হাসপাতালে আসছেন, তাদের অনেকেরই স্বাস্থ্য জটিলতা বেশি। আগামী দিনে এ ধরনের রোগী বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ডেঙ্গু নিধনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত মার্চ মাসে সিটি করপোরেশনগুলোতে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাতে মশার উৎপত্তিস্থলগুলো ধ্বংস করে দিতে বলা হয়েছিল। তবে তার কোনো কাজ হয়নি।

ডেঙ্গু যেন না হয় তার ব্যবস্থা নিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গু হলে নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগ সেবা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তবে ডেঙ্গু যেন না হয়, সে জন্য সিটি করপোরেশনকে কাজ করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর