বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সব খুলে দেয়া হয়েছে জীবিকার প্রয়োজনে

  •    
  • ১৪ আগস্ট, ২০২১ ১২:৪৮

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সেবা চালুর বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘জীবন-জীবিকার স্বার্থে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’

দেশে জীবিকার প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় সবকিছু সচল রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ৫ এপ্রিল সারা দেশে লকডাউন দেয় সরকার। এরপর কঠোর বিধিনিষেধ দফায় দফায় বাড়ানো হয়।

সবশেষ ঈদুল আজহার পর ৫ আগস্ট পর্যন্ত শাটডাউন দেয়া হয়। এটি পরে পাঁচ দিন বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়। এর আগেই চালু করা হয় রপ্তানিমুখী শিল্প ও কলকারখানা।

১১ আগস্ট থেকে যানবাহন, দোকানপাটসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই খুলে দেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জোর দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানায়।

এমন বাস্তবতায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলছে, বিধিনিষেধ শিথিলের ক্ষেত্রে সরকার কিছুটা তাড়াহুড়া করেছে।

সারা দেশে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকার সময় সরকারের এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে শাটডাউন অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছে কমিটি।

পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা শুক্রবার রাতের বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তির এক দিন পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘জীবন-জীবিকার স্বার্থে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’

দেশে টিকার কোনো সংকট হবে না জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘পৃথিবী এখন করোনায় আক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চীনের কাছ থেকে ৭ কোটি টিকা নভেম্বরের মধ্যে পেয়ে যাব।

‘আরও অন্য জায়গা থেকে টিকা আসছে। এসব টিকা আসতে থাকলে টিকার কার্যক্রম বেগবান হবে।’

তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, মাস্ক পরুন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল আমিন, ইমার্সিভ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ইকবাল আর্সলান, সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ।

এ বিভাগের আরো খবর