বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ না এলে সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ’

  •    
  • ১২ আগস্ট, ২০২১ ১৪:৩২

‘সংক্রমণ কিছুটা কমে এসেছে। মৃত একটু বেশি আছে। এই সংক্রমণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাস-ট্রেন গণপরিবহনে গাদাগাদি করে চললে হবে না।’

করোনা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কর্মহীন লোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে। এ কারণে আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে করোনা ও ডেঙ্গু বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ বিল্লাল।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্মকর্তারা।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কর্মহীন লোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে। এ কারণে আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি।’

‘আমরা মাঝে মাঝে অনেক সমালোচনার মুখে পড়ি। সমালোচকরা অসুস্থ হলে কোথায় চিকিৎসা নিতে আসেন? যে ডাক্তার চিকিৎসা দেন তাদেরকেই আপনারা সমালোচনা করেন।’

তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ কিছুটা কমে এসেছে। মৃত একটু বেশি আছে। এই সংক্রমণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাস-ট্রেন গণপরিবহনে গাদাগাদি করে চললে হবে না।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘পৌনে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। কোটি কোটি লোক নিবন্ধন করেছে। আমরা সবাইকে একবারে টিকা দিতে পারব না। পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে টিকা দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘করোনার সময় বিরোধী দলের কাউকেই মানুষের পাশে দেখিনি। শুধু টেলিভিশনে বসে সমালোচনা করতে দেখেছি। সমালোচনা করা অনেক সহজ। কাজ করা কঠিন। আজ স্বাস্থ্য বিভাগে ডাক্তার ও নার্স অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শুধু করোনা চিকিৎসা নয়, অন্য রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন।’

টিকা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে ৫৪ লাখ ভ্যাকসিন আসবে। এই মাসের মধ্যে এক কোটি ভ্যাকসিন আসবে। ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলমান থাকবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাস যেন আর না বাড়ে সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

‘করোনা বেড়ে গেলে সামাল দেয়া যাবে না। রাতারাতি হাসপাতাল বাড়ানো যাবে না। হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো হয়েছে। এটার একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’

‘ডিএনসিসি এক হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরি করেছে। সম্প্রতি বঙ্গমাতা ফিল্ড হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছে। তবে হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো সম্ভব হবে না।’

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে শয্যা বাড়িয়ে লাভ হবে না, যদি সংক্রমণের মূল উৎস চিহ্নিত না করে কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়।’

ডেঙ্গু যেন না হয় তার ব্যবস্থা নিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গু হলে নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগ সেবা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তবে ডেঙ্গু যেন না হয় সে জন্য সিটি করপোরেশনকে কাজ করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর