করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণটিকাদান কার্যক্রমে প্রথম ডোজ যে টিকা দেয়া হচ্ছে, এক মাস ব্যবধানে একই কোম্পানির দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘টিকা গ্রহণকারীদের যারা সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করেননি, তাদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তথ্যগুলো কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে যুক্ত করা হচ্ছে। এভাবে তাদের নিবন্ধন হয়ে যাচ্ছে।
‘প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার চার সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় টিকা দেয়া হবে। যে কোম্পানির টিকায় প্রথম ডোজ পেয়েছেন যারা, দ্বিতীয় ডোজ সেই কোম্পানির টিকাই পাবেন তারা। যারা মডার্না টিকা গ্রহণ করেছেন, তারা মডার্না পাবেন। যারা ফাইজারের টিকা গ্রহণ করেছেন, তারা ফাইজারের টিকা পাবেন।
‘যারা চীনের উৎপাদিত সিনোফার্মের টিকা গ্রহণ করেছেন, তারা সেই টিকা পাবেন। সবার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিশ্চিত করেই আমরা এই গণটিকা কর্মসূচি পরিচালনা করছি। প্রথম ডোজ যারা গ্রহণ করেছেন, তারা নিশ্চিতভাবে দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে যাবেন।’
এদিকে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় গত ১৪ জুলাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবিত মডার্না টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছিল। এ টিকার মজুত কমে আসায় ১২ আগস্ট থেকে প্রথম ডোজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাদের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে, আপাতত শুধু তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। মঙ্গলবার এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘যারা কার্ড নিয়ে টিকা গ্রহণ করতে গিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ কবে দেয়া হবে সেটা কার্ডে উল্লেখ করে দেয়া হচ্ছে। আর যারা নিবন্ধন না করেই গণটিকা নিতে আসছেন, তাদের তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংগ্রহ করছে। তাই চিন্তার কারণ নেই।’
জরিমানা বা শাস্তি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে জনগণকে শাস্তি দেয়া সমাধান নয়। মানুষের আস্থা বাড়িয়ে অতিমারি মোকাবিলা করতে হবে। সংক্রমণ আইনে যেসব বিষয় আছে, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন সম্ভব।’