বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বণ্টনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গড়া প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম থেকে ১৭ লাখ ডোজ টিকা পৌঁছেছে দেশে।
টিকা বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৯৮৬০ ফ্লাইটটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪১ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে ফ্লাইটটি বেইজিং বিমানবন্দর ছাড়ে।
সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশেও উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় চীন দূতাবাসের উপ রাষ্ট্রদূত হ্যালং ইয়ান। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘দ্রুতই আমরা বাংলাদেশে যৌথ উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছি।’
কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে টিকা দেয়ার বাইরেও উপহার হিসেবে শুরুতে ৫ লাখ ও কিছুদিন পর আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা দেয় চীন।
এর বাইরে সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের তাসখন্দ বৈঠক উপলক্ষে সিনোফার্মের আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয়া হয়।
এই প্রথমবার কোভ্যাক্সের আওতায় টিকা আসল চীন থেকে।
দেশটি থেকে সিনোফার্মের ৭৫ মিলিয়ন বা সাড়ে সাত কোটি ডোজ কিনছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, এর মধ্যে দেড় কোটি ডোজের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি টাকা পরিশোধের প্রক্রিয়া চলছে।
চীন থেকে প্রথম দফায় ৩ জুলাই বাণিজ্যিকভাবে কেনা ২০ লাখ টিকা আসে। আর দ্বিতীয় দফায় ১৭ জুলাই আরও ২০ লাখ টিকা আসে। ৩০ জুলাই আসে ৩০ লাখ ডোজ।
বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের টিকা প্রথম আনে ভারতের প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে। ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে সেখান থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা আসার কথা ছিল বাংলাদেশে। এর মধ্যে চুক্তির ৭০ লাখ ডোজ আসার পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে বাংলাদেশকে টিকা দেয়া বন্ধ করে দেয় সিরাম।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে চালান আসা বন্ধ হওয়ার পর চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রয়চুক্তির মাধ্যমে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় টিকা আনার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। অব্যাহত সে তৎপরতায় নিয়মিত বিরতিতে টিকা আসছে দেশে।