রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারে অবস্থিত ৬টি প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং একটি ব্লাড ব্যাংকসহ মোট ৭টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ জুলাই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তার। অভিযানে নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। এ সব অনিয়মের কারণে মহাপরিচালকের অনুমোদন সাপেক্ষে এই ৭টি প্রতিষ্ঠানকে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
একই সঙ্গে কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাইম অর্থোপেডিক ও জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিএমডিসি সনদ প্রাপ্ত কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায় নাই, পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স ছিল না, ল্যাবে টেকনোলজিস্ট নেই, রোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য রাখার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ঢাকা হেলথকেয়ার হসপিটালে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স নাই, প্রয়োজন ছাড়া ব্যবসায়িক স্বার্থে আইসিউতে রোগী রেখে অনৈতিক প্র্যাকটিসের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ রাখারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরেকটি ক্লিনিক রিমেডি কেয়ার লিমিটেড হালনাগাদ লাইসেন্স পরিচালিত হচ্ছে। আইসিইউ সর্বস্ব হাসপাতাল বানিয়ে শুধু ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে দালালের সহায়তায় হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরাধে ব্যবস্থা (আইপিসি) খুবই অসন্তোষজনক।
লাইফ কেয়ার জেনারেল হসপিটাল, যমুনা জেনারেল হসপিটাল, রয়াল মাল্টিকেয়ার স্পেশালটি হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও একই ধরনের সংকট দেখা গেছে।
রাজধানী ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টারে অভিযান চালানোর সময় দেখা যায়, বিএমডিসি সনদপ্রাপ্ত কোনো এমবিবিএস চিকিৎসক নাই, নার্স, ব্লাড কালেকশন টেকনোলজিস্ট এবং ল্যাব এটেন্ডেন্ট পাওয়া যায় নাই।