বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১২ আগস্ট থেকে মডার্নার প্রথম ডোজ প্রদান বন্ধ

  •    
  • ১০ আগস্ট, ২০২১ ১৯:০৯

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১২ আগস্টের পর সারা দেশে মডার্না ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রদান বন্ধ এবং দ্বিতীয় ডোজ প্রদান শুরু হবে। তবে যেসব স্থানে এই টিকার প্রথম ডোজ উদ্বৃত্ত রয়েছে সেসব স্থানে দ্রুত প্রথম ডোজ প্রদানের কাজ সম্পন্ন করে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান আরম্ভ করতে হবে।

মজুত ফুরিয়ে আসায় আগামী ১২ আগস্ট থেকে সারা দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী মডার্না টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে যাদের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ওইদিন থেকে তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে।

মঙ্গলবার এক চিঠিতে টিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক।

গত ১৪ জুলাই থেকে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে প্রয়োগ শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবিত মর্ডানার টিকা।

ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১২ আগস্টের পর সারা দেশে মডার্না ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রদান বন্ধ এবং দ্বিতীয় ডোজ প্রদান শুরু হবে। তবে যেসব স্থানে এই টিকার প্রথম ডোজ উদ্বৃত্ত রয়েছে সেসব স্থানে দ্রুত প্রথম ডোজ প্রদানের কাজ সম্পন্ন করে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান আরম্ভ করতে হবে।

মডার্নার টিকার পাশাপাশি যারা চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৪ আগস্ট থেকে তাদের দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

১২ জুলাই দেশে প্রথম সিনোফার্মের টিকা প্রদান শুরু হয়। বর্তমানে এই টিকাই বেশি দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৪ আগস্ট হতে সারা দেশে আবশ্যিকভাবে সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রদান শুরু হবে। এ লক্ষ্যে সারা দেশের টিকা কেন্দ্রগুলোতে চাহিদা মোতাবেক দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন শিগগিরই প্রেরণ করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমের অনুমোদনক্রমে নির্দেশনাটি সারা দেশের সিভিল সার্জন, হাসপাতাল পরিচালক, টিকা কেন্দ্রসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা দিয়ে দেশে করোনারোধী টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ‘কোভিশিল্ড’ নামে এই টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা পেতে সিরামের সঙ্গে চুক্তিও করে সরকার। প্রতি মাসে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ করে। কিন্তু দুই মেয়াদে ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আর কোনো টিকা পাঠাতে পারেনি। কেনা টিকার বাইরে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে ভারত।

টিকা স্বল্পতায় বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিই বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল। এমন অবস্থায় টিকার বিকল্প সন্ধানে নামে সরকার। এর অংশ হিসেবে চীন থেকে সাড়ে ৭ কোটি টিকা আনার জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে দফায় দফায় আসা শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া, বিশ্বব্যাপী ন্যায্যতার ভিত্তিতে করোনা টিকা বণ্টনের জন্য গড়ে তোলা জোট কোভ্যাক্সের মাধ্যমেও টিকা আসা শুরু হয়েছে। ফলে টিকা প্রদানের পরিসরও বাড়িয়েছে সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর