বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডারের লক্ষণ ও চিকিৎসা

  • আবির আবরাজ   
  • ১০ আগস্ট, ২০২১ ১৩:২৯

ওসিডির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশ না হওয়া। প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠা। জিনগত সমস্যা এবং নিম্ন মাত্রার সিরাটোনিনের উপস্থিতি।

অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার বা ওসিডি কিশোর-কিশোরীদের একটি অসুখ যা সাধারণত মানসিক স্বাস্থ্যকে আক্রান্ত করে। পাশাপাশি শারীরিকভাবেও ক্ষতি করে। কিশোর-কিশোরীরা নানা রকম প্রতিকূলতা ও পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যায়। যারা এ রোগে আক্রান্ত হয়, তারা ভয়াবহ মানসিক অসুস্থতার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। বেশির ভাগ সময়ই এটা অভিভাবকদের দৃষ্টিগোচর হয় না। অনেকেই এটিকে কৈশোরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া মনে করে অবহেলা করেন। এই উপেক্ষার ফলে আক্রান্তরা একপর্যায়ে এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে চলে যায়, যখন তাদের জীবন নিয়েও সংশয় দেখা দেয়।রোগটি নিরাময়যোগ্য। ডাক্তারদের সঠিক নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচর্যা করলে এটি সেরে উঠতে পারে।

ওসিডির লক্ষণওসিডির লক্ষণগুলো খুবই সূক্ষ্ম। বেশির ভাগ সময়ই এটি নির্ণয় করা যায় না। কারণ কিশোর-কিশোরীরা তাদের সমস্যাগুলো গোপন করতে চান। তারপরও কিছু লক্ষণ দেখে এটা অনুমান করা যায়।যেমন নির্দিষ্ট কোনো ভাবনার চক্রে আটকে থাকা এবং তা নিয়ে ক্রমাগত দুশ্চিন্তা করা। ধর্ম কিংবা যৌনতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে নেতিবাচক ভাবনা পোষণ করা। সাধারণ ঘটনাতেও অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে পড়া এবং রাগ দেখানো।এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু নিয়ে অকারণে ভীত থাকা। পরীক্ষায় হঠাৎ খারাপ ফলাফল করা। কাজ করতে গিয়ে স্বাভাবিকের চাইতে অতিরিক্ত সময় নেয়া। দোটানায় ভোগা। সাধারণ ব্যাপারেও প্রচণ্ড দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া। ভুলে যাওয়া এবং ঘুমাতে না পারা।

ওসিডির কারণওসিডির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশ না হওয়া। প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠা। জিনগত সমস্যা এবং নিম্ন মাত্রার সিরাটোনিনের উপস্থিতি।

ওসিডি নিরাময়

অ্যান্টি ডিপ্রেশন পিলপ্রাথমিকভাবে রোগীর মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্য ফেরাতে অ্যান্টি ডিপ্রেশন ওষুধ দেয়া হয়।

এসএসআর বা সিলেক্টিভ সিরাটোনিন রিআপটেকএটি দেয়ার ফলে মস্তিষ্কে সিরাটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।

সিবিটি বা কগনেটিভ বিহেভিরিয়াল থেরাপিসিবিটি এমন এক ধরনের চিকিৎসা যা ওসিডিসহ অন্য মানসিক সমস্যাগুলো আগেই নির্ণয় করার মাধ্যমে নিরাময় করা হয়। এই চিকিৎসায় রোগীর অতীতের যেকোনো মানসিক আঘাতও নতুন করে সামনে তুলে আনা হয়। সেই সমস্যাটাকে নতুন করে মোকাবিলা করতে শেখানো হয়।

ইআরপি বা এক্সপোজার অ্যান্ড রেসপন্স প্রিভেনশনএ পদ্ধতিতে প্রফেশনাল থেরাপিস্টদের দ্বারা রোগীর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা হয়। তাকে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে দেয়া হয়।

মেডিটেশনএটি থেরাপির পরবর্তী প্রক্রিয়া। যখন থেরাপির পরেও রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে না, তখন মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য ডাক্তার মেডিটেশনের পরামর্শ দেন। এতে করে রোগীর শারীরিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। চিন্তা এবং চেতনায় স্বচ্ছতা ফিরে আসে।

সূত্র: অ্যাংজাইটি ইনস্টিটিউট

এ বিভাগের আরো খবর