বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বণ্টনের প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের ১৭ লাখ ডোজ আসছে বাংলাদেশে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে টিকার চালান বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি বেইজিং বিমানবন্দর ছাড়ে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে টিকাগুলো।
ঢাকায় চীন দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত হ্যালং ইয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন।
কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে টিকা দেয়ার বাইরেও উপহার হিসেবে শুরুতে ৫ লাখ ও কিছুদিন পর ৬ লাখ ডোজ টিকা দেয় চীন।
সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের তাসখন্দ বৈঠক উপলক্ষে সিনোফার্মের আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয়া হয়।
এর বাইরে চীন থেকে সিনোফার্মের টিকা বিবিআইবিপি-করভির ৭৫ মিলিয়ন বা সাড়ে সাত কোটি ডোজ কিনছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, এরই মধ্যে দেড় কোটি ডোজের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি টাকা পরিশোধের প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের টিকা প্রথম আনে ভারতের প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে। ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে সেখান থেকে তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা আসার কথা ছিল বাংলাদেশে, কিন্তু চুক্তির ৭০ লাখ ডোজ আসার পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে বাংলাদেশকে টিকা দেয়া বন্ধ করে দেয় সিরাম।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে চালান আসা বন্ধ হওয়ার পর চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রয়চুক্তির মাধ্যমে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় টিকা আনার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। অব্যাহত সে তৎপরতায় নিয়মিত বিরতিতে টিকা আসছে দেশে।