টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় দুই দিন পরই বন্ধ হয়ে গেছে রাজশাহী শহরের গণটিকা কার্যক্রম।
গত দুই দিনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রতিটি ওয়ার্ডে টিকাগ্রহীতাদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেই ছিল লম্বা লাইন।
কিন্তু টিকার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় রাসিক কর্তৃপক্ষ গণটিকা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
রোববার সন্ধ্যার পর নগরীজুড়ে মাইকিং করে ষোষণা দেয়া হয় যে, আগামীকাল থেকে অনিবার্য কারণবশত ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকা দেয়া বন্ধ থাকবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, ওয়ার্ড পর্যায়ে গণটিকাদান ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত থাকলেও সোমবার থেকে সরকারনির্ধারিত চারটি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। যারা টিকা নিতে এসএমএস পাবেন, কেবল তাদের টিকা দেয়া হবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এম এ আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, রাজশাহী মহানগরীতে গণটিকাদানের দুই দিনে ৭৮ হাজার ৮৭৩ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। রোববার দ্বিতীয় দিনে ৪৪ হাজার ৪৮৮ জনকে টিকা দেয়া হয়। এর আগে প্রথম দিন মোট ৩৪ হাজার ৩৮৫ জনকে টিকা দেয়া হয়েছিল।
টিকা না থাকায় ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদান ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে আবারও ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার থেকে সরকারনির্ধারিত চারটি কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে। নিবন্ধিত যারা টিকা নিতে এসএমএস পাবেন, শুধু তাদের টিকা প্রদান করা হবে। চারটি কেন্দ্র হচ্ছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (স্থান: টিচার্স ট্রেনিং কলেজ) কেন্দ্র, পুলিশ হাসপাতাল, আইডি হাসপাতাল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) কেন্দ্র।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘ক্যাম্পেইন তো ক্যাম্পেইনই। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সক্ষমতা যাচাই করলাম। একসঙ্গে অধিকসংখ্যক মানুষকে কীভাবে টিকা দেয়া যায়, সেটা শিখলাম। আমাদের অভিজ্ঞতা হলো। এখন যদি অনেক বেশি টিকা আমাদের কাছে পাঠানো হয়, তাহলে তো আমরা স্বল্প সময়ে তা প্রয়োগ করতে পারব।’