বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকা ছাড়াই অ্যান্টিবডি তৈরির তথ্য

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২১ ০১:৩৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘হার্ড ইমিউনিটি তৈরির জন্য কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি থাকা দরকার। এ কারণে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়াতে এবং প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব কতদিন থাকবে সেটি কোনো গবেষণায় প্রমাণিত না হওয়ায় করোনা থেকে বাঁচতে টিকা নেয়ার বিকল্প নেই।’

করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠার মতো ফল মিলেছে যশোরের একটি গবেষণায়।

৪০০ জন মানুষের ওপর পরীক্ষা করে এদের ৩৫ শতাংশের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে যাদের বেশিভাগ কখনও করোনায় আক্রান্ত হননি, এমনকি তাদের কোনো উপসর্গও ছিল না। এছাড়া এদের কাউকে টিকাও দেয়া হয়নি।

গবেষক দল বলছে, এই ফলাফলে প্রমাণ হয়, দেশের মানুষের শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, যা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি চমকপ্রদ ঘটনা।

গবেষণাটি করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টার। আর এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘হার্ড ইমিউনিটি তৈরির জন্য কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি থাকা দরকার। এ কারণে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়াতে এবং প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব কতদিন থাকবে সেটি কোনো গবেষণায় প্রমাণিত না হওয়ায় করোনা থেকে বাঁচতে টিকা নেয়ার বিকল্প নেই।’ তিনি বলেন, ‘টিকা না নিলে আরও দীর্ঘদিন আমাদের এই মহামারিতে ভুগতে হবে।’বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ জানান, যশোরের ৪০০ মানুষের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। এদের কেউই করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেননি।

গবেষণার ফলাফল ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘গ্রামের তুলনায় শহরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির শতকরা হার কম। এই গবেষণায় টিকা নেয়াদের বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এতো বেশি মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি থাকা এটাই প্রমাণ করে যে, আমাদের চারপাশে করোনা উপসর্গহীন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি।’

তিনি বলেন, ‘যশোরের তিনটি উপজেলার ছয় অঞ্চলের মানুষের শরীর থেকে রক্তের নমুনা নিয়ে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি পরীক্ষা পদ্ধতিতে এই গবেষণা চালানো হয়। করোনার ডেল্টা ধরনের ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধের প্রকৃত হার জানতেই এ গবেষণার উদ্যোগ নেয় যবিপ্রবি।’

জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘গবেষণার ফলাফলের অর্থ হলো, এই ৩৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত বা এ ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন।’

তিনি জানান, গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বাড়িতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া পজিটিভ করোনা রোগী ছিল, ওই সব পরিবারের সদস্যদের ৩৮ ভাগের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।

এছাড়া করোনা পজিটিভ রোগী সংশ্লিষ্ট বাড়ির পাশের করোনা পজিটিভবিহীন বাড়ির ২৪ ভাগ মানুষের মধ্যে করোনার প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জেনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীরের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘অ্যান্টিবডি’ শনাক্তকরণের গবেষক দলের সদস্যরা হলেন পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পিপাসা সুলতানা, সুরাইয়া ইয়াসমিন, লক্ষ্মী সরকার এবং পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী নওশাদ মাহমুদ চয়ন।

এ বিভাগের আরো খবর