বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকার বয়সসীমা ১৮ হচ্ছে না জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুতে

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২১ ১৬:১২

‘দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসে শুক্রবার বেলা ১১টায় তিনি বলেন, ‘প্রতিটা পরিকল্পনায় পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা আগেই ১৮ বছরের ওপরে সবাইকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। সেটা করা সম্ভব হচ্ছে না।’

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণটিকা ক্যাম্পেইনে বয়সসীমা ১৮ করার পরিকল্পনা থাকলেও টিকা প্রয়োগের এক দিন আগেই এ পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে সরকার।

দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী, নারী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের শনিবার থেকে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

একই সঙ্গে টিকা নেয়ার বয়সসীমা এখনই ১৮ হচ্ছে না কেন, এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।

‘দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসে শুক্রবার বেলা ১১টায় তিনি বলেন, ‘প্রতিটা পরিকল্পনায় পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা আগেই ১৮ বছরের ওপরে সবাইকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। সেটা করা সম্ভব হচ্ছে না।

‘এ ছাড়া ১৮ বছর বয়সীদের অনেকের আইডি কার্ড নেই। এতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। তাই বয়স ১৮ না করে ২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে।’

এর আরও একটি কারণ রয়েছে জানিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ মানুষ গ্রামের। তারা কেউই টিকা নেননি।’

খুরশীদ আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করে দেখেছি, চারটি হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের ডাটা আমার দেখেছি। তারা কেউ টিকা দেননি। তাদের অধিকাংশই গ্রামের।’

তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষের জন্য এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে। তাদের টিকা নিশ্চিত করতে পারলে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এমনটি এখন যারা প্রথম ডোজ পাবেন, তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষণ করে টিকা দেয়া হবে।’

এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬ দিনে ৩২ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। এই ক্যাম্পেইনে সারা দেশে ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী, ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযোগে টিকা দেয়া হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, এমআইএস পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, ইপিআই কর্মসূচির ব্যবস্থাপক ডা. মওলা বক্স চৌধুরী প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর