কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫ জন।
পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
শনাক্তদের মধ্যে ১৯০ জনই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা।
বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদরের ২৭, সদর দক্ষিণের ২২, বুড়িচংয়ের ৩২, ব্রাহ্মণপাড়ার ৩৮, চান্দিনার ৩৫, চৌদ্দগ্রামের ৮৬, দেবিদ্বারের ৩২, দাউদকান্দির ৩৪, লাকসামের ৫৩, লালমাইয়ের ১১, নাঙ্গলকোটের ৭০, বরুড়ার ৬২, মনোহরগঞ্জের ২১, মুরাদনগরের ১২, মেঘনার ১৭, তিতাসের ৪০ জন এবং হোমনা উপজেলার ৩০ জন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের চারজন এবং দাউদকান্দি, মুরাদনগরের দুইজন করে রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদর, বুড়িচংয়, ব্রাহ্মণপাড়া, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, বরুড়া, মনোহরগঞ্জের একজন করে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে আটজন নারী এবং সাতজন পুরুষ।
জেলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৭২জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৫৫ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন ১৭ হাজার ৫৬০জন।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন জানান, প্রায় দুই মাস ধরে প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। করোনার বরাদ্দকৃত আসনের চেয়ে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কমাতে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’
সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, ‘জেলায় শতভাগ টিকা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস।’