বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলনা ও রাজশাহীতে ডেঙ্গু রোগী

  • আমিনুল ইসলাম, খুলনা   
  • ৩ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৫১

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার ভর্তি হওয়া তিন রোগীর মধ্যে দুজনই শিশু। তাদের কারও বাড়ি খুলনা জেলার না হলেও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রাজশাহীতে ভর্তি রোগী অবশ্য ঢাকা থেকেই আক্রান্ত হন।

ঢাকায় উদ্বেগ তৈরি করা মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিন এবং রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এক রোগী ভর্তি হয়েছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার ভর্তি হওয়া তিন রোগীর মধ্যে দুজনই শিশু। তাদের কারও বাড়ি খুলনা জেলার না হলেও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

রাজশাহী মেডিক্যালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী হিলাড়ি স্বপন কর্মকারও একইদিন বিকেলে সেখানে যান। তার বাড়ি রাজশাহীতে হলেও পড়াশোনার জন্য ঢাকায় ছিলেন। সেখান থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তিনি।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সেখানে ভর্তি তিন রোগী হলো বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ৩২ বছরের সজীব, রামপাল উপজেলার বাঁশতলি এলাকার অপু বিশ্বাসের চার বছরের ছেলে অতিস ও নড়াইল লোহাগড়ার লুটিয়া এলাকার কানু ঘোষের ১০ বছরের ছেলে লিংকন ঘোষ।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘খুলনায় এখনও ডেঙ্গু প্রভাব বিস্তার করেনি। তবুও সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘প্রাথমিকভাবে ১০ শয্যার একটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করে ডেঙ্গু ওয়ার্ডের বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ‘খুলনায় এখনও ডেঙ্গু আক্রান্ত কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। উপজেলাগুলোতে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে কোনো রোগী আসলে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু টেস্টও করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত কিটের ব্যবস্থা রাখা আছে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি স্বপনের বাড়ি নগরীর ডিঙ্গাডোবা বাগানপাড়া এলাকায়। তিনি ঢাকায় নর্দান ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী। সোমবার ভোরে তিনি রাজশাহীতে পৌঁছান। বিকেলেই হাসপাতালটিতে ভর্তি হন তিনি।

স্বপন জানান, তিনি নার্সিং কলেজের হোস্টেলে থাকেন। কয়েকদিন আগে তিনি অসুস্থ হওয়ায় সেখানে ডেঙ্গু পরীক্ষা করালে পজেটিভ রেজাল্ট আসে। এর পরই তিনি রাজশাহীতে চলে আসেন।

সোমবার রামেক হাসপাতালে ভর্তির পর ফের পরীক্ষা করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এখানেও পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে। এখন ডেঙ্গুর চিকিৎসা চলছে। তবে শারীরিকভাবে এখনও ভালো আছেন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘তিনি ঢাকাতেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখানে আসার পর আমরা তাকে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।

‘চলতি মৌসুমে এই হাসপাতালে এটিই প্রথম ডেঙ্গু রোগী। আমরা তাকে সুরক্ষা দিয়ে রাখছি। বুধবার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু ওয়ার্ড করার পর তাকে সেখানে রাখা হবে।’

ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবশ্য আগেই প্রস্তুতি নিয়েছে। ঈদের আগে ঢাকা থেকে অনেকেই যাওয়ায় ডেঙ্গু ছড়াতে পারে এমন আশঙ্কায় গত মাসের শেষ সপ্তাহেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিয়ে রাখে।

এ বিভাগের আরো খবর