বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজশাহী মেডিক্যালে জুলাইয়ে করোনায় রেকর্ড মৃত্যু

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২১ ২২:১১

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, জুলাই মাসে এখানে মোট ১ হাজার ৮৭৮ জন করোনা রোগী ভর্তি হন। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা যান ১৮০ জন। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয় ৩২০ জনের।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত জুলাই মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে। ওই মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩১ জন।

করোনা মহামারি শুরুর পর এক মাসে রাজশাহী মেডিক্যালে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। মে ও জুন মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা জুলাইয়ের চেয়ে কম।

হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে। জুনে ব্যাপক বেড়ে যায়।

করোনা সংক্রমণের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী শহরে ১১ জুন বিকেল থেকে শুরু হয় কঠোর লকডাউন।

১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরুর পরও কমেনে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল জানায়, জুলাইয়ে এখানে মোট ১ হাজার ৮৭৮ জন করোন রোগী ভর্তি হন। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা যান ১৮০ জন। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয় ৩২০ জনের।

এ ছাড়া করোনা মুক্তির পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়।

জুনে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন ১ হাজার ৩৯১ জন। এর মধ্যে মারা যান ৩৬৯ জন। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিল ১৬৮ জনের, উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা চলছিল ১৯৪ জনের। আর করোনা-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে মারা যান ৭ জন।

মে মাসে রাজশাহী মেডিক্যালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন ৮০৮ রোগী। এর মধ্যে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫৩ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা যান ৭১ জন।

এপ্রিলে ভর্তি হন ৬৫৪ জন। ওই মাসে মৃত ৭৯ জনের মধ্যে ৩৬ জন মারা যান করোনা আক্রান্ত হয়ে। বাকি ৪৩ জন মারা যান করোনা উপসর্গ নিয়ে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘যারা মারা গেছেন তাদের বেশির ভাগই শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে এসেছিলেন। এমনকি কারও কারও চিকিৎসা শুরু করার আগেই মৃত্যু হয়েছে। এখন উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে করোনা রোগীরা যাচ্ছেন। সেখানে চিকিৎসা নেয়ার পর যদি অবস্থা বেগতিক হয়, তখনই তাদের রেফার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এখানে চিকিৎসাধীন রোগীদের বড় একটি অংশকে আমারা সুস্থ করতে সক্ষম হয়েছি।

‘ভারত থেকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আসার পর মৃত্যুর সংখ্যাটা বেড়েছে। যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই বয়স্ক। ৬১ বছরের বেশি বয়সী। তারা এমনিতেই অন্য অসুখে আক্রান্ত। এ কারণে করোনার ধাক্কাটা তাদের একটু বেশিই লাগে।’

হাসপাতালের পরিচালক জানান, হাসপাতালে রোগীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে অক্সিজেন সরবরাহ। এ হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেনের মাধ্যমে ৫১৩ জন রোগীকে এক সঙ্গে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর