দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫ হাজার ৯৮৯ জনের দেহে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে এই নিয়ে ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩১৭ জনের দেহে করোনা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ১৬২ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে ঘণ্টায় দেশের ৬৯৭টি ল্যাবে করোনার ৫৩ হাজার ৪৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ।
এই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৫ হাজার ৪৮২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ০৮ হাজার ৭৪৮ জন। সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৬০ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৩৭ জন, নারী ১০৯ জন। তাদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। বাকিদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ৪, ত্রিশোর্ধ্ব ১৩, চল্লিশোর্ধ্ব ৩৩, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৭১ ও ষাটোর্ধ্ব ৭১ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩২, অশীতিপর ১৬ ও নবতিপর ৩ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রামে বিভাগ, ৬৪ জন। এ ছাড়া খুলনায় ৩০ জন, রাজশাহীতে ২২, বরিশালে ১৬, সিলেটে ১৪, রংপুরে ১৪ ও ময়মনসিংহে ১০ জনের করে মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। উদ্বেগ থাকলেও প্রথম কয়েক মাসে ভাইরাসটি সেভাবে ছড়ায়নি। তবে মে মাস থেকে ব্যাপকভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তখন আক্রান্তের হটস্পট ছিল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের মতো জনবহুল শহরগুলো।
গত শীতে দ্বিতীয় ঢেউ আসার উদ্বেগ থাকলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু- দুটোই কমে আসে। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে যায়, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় মহামারি নয়, নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি। তবে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতে করোনার নতুন ধরনের কথা জানা যায়। সেই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের দ্রুত অসুস্থ করে দেয়, তাদের অক্সিজেন লাগে বেশি। ছড়ায়ও দ্রুত, তাই মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দফায় কঠোর বিধি নিষেধ, লকডাউন বা শাটডাউন দিচ্ছে সরকার। কিন্তু তাতে খুব বেশি কাজ হচ্ছে না। ঈদুল আজহা পরবর্তী দেশে এখন ১৪ দিনের শাটডাউন চলছে, যা শেষ হবে ৫ আগস্ট।