বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়া ৯৮ শতাংশের অ্যান্টিবডি

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২১ ১১:২৭

গবেষণায় দেখা যায়, যারা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে টিকা নিয়েছেন, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়া ৯৮ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।

যারা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে টিকা নিয়েছেন, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।

ওই টিকা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাে-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হােসেন, প্রাে-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মােশাররফ হােসেন এবং হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দীন শাহ সহ-গবেষক হিসেবে প্রকল্পটিতে যুক্ত ছিলেন।

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত ২০৯ জন টিকাগ্রহীতা এ গবেষণায় স্বেচ্ছায় অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ পুরুষ। তাদের অর্ধেকের বেশি স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার সঙ্গে যুক্ত।

অংশগ্রহণকারীদের ৩১ শতাংশের আগে করোনা সংক্রমণের ইতিহাস আছে। অর্ধেকেরও বেশি অংশগ্রহণকারী আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানিসহ অন্য রােগে ভুগছিলেন।

তবে এ ধরনের রােগের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিকা গ্রহণের পর অ্যান্টিবডি তৈরিতে কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, ৪২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী টিকা নেয়ার পরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন। সবার ক্ষেত্রেই উপসর্গ মৃদু ছিল।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, রক্ত জমাটবাঁধা বা এ ধরনের অন্য কোনো জটিল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গবেষণাকালীন সময়ে দেখা যায়নি। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে অ্যন্টিবডির উপস্থিতির কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয় চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। এর আগে জানুয়ারিতে এ টিকা দিয়ে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ সিরাম থেকে এ টিকা কেনে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে তিন কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার কথা সিরামের।

তবে ভারতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এমন বাস্তবতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংকটে পড়ে দ্বিতীয় ডোজ নেয়া বন্ধ হয়ে যায় অনেকের।

তবে কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান দুই দফায় ১০ লাখের বেশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ পাঠানোয় সে সংকট অনেকটা কেটে গেছে। সোমবার থেকে ঢাকা বিভাগে শুরু হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া। সে ডোজ নিতে ভিড় দেখা গেছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে।

এ বিভাগের আরো খবর