বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুলাইয়ে করোনায় মৃত্যু ৬১৮২, শনাক্ত বেড়ে তিন গুণ

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২১ ২০:১২

শনাক্তের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি মৃত্যুও হয়েছে জুলাইয়ে। এই এক মাসে ৬ হাজার ১৮২ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৮৫ জনে।

দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে এক মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে জুলাইয়ে। এই মাসে ৬ হাজার ১৮২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

জুনে মৃত ১ হাজার ৮৮৪ জনের বিপরীতে যা প্রায় সাড়ে তিন গুণ। এর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৮৫ জনে।

মৃত্যুর পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি শনাক্তও হয়েছে জুলাইয়ে। জুনে যেখানে শনাক্ত রোগী ছিল ১ লাখ ১২ হাজার জন, জুলাই শেষে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। জুনের তুলনায় যা তিন গুণ।

এক মাসে দেশের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বেশি শনাক্ত। এর মধ্য দিয়ে দেশে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় এপ্রিলে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৭ জন রোগী শনাক্ত হয়। মে মাসে শনাক্ত কিছুটা কম ছিল। এরপর জুনে আবার ১ লাখ ১২ হাজার ৭১৮ রোগী শনাক্ত হয়।

করোনার সংক্রমণ শুরুর পর মৃত্যুর হিসাবেও সবচেয়ে ভয়াবহ জুলাই। এই এক মাসেই সর্বোচ্চ ৬ হাজার ১৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছিল এপ্রিলে, ২ হাজার ৪০৪ জন। এর পরই শীর্ষ অবস্থানে আছে জুন মাসের ১ হাজার ৮৮৪ জনের মৃত্যু।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর ১৮ জুন রোগী ১ লাখ ছাড়ায়। ৩০ দিনের ব্যবধানে ১৮ জুলাই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখে পৌঁছায় ২৬ আগস্ট। এর দুই মাস পর ২৬ অক্টোবর রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ হয়।

এরপর করোনা সংক্রমণের হার কমে যায়। সংক্রমিতের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়ায় গত ২০ ডিসেম্বর। অর্থাৎ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ বাড়তে সময় লাগে ৫৫ দিন।

চলতি বছরে ২৯ মার্চ করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়ায়। শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে ১৬ দিন। ১৪ এপ্রিল ৭ লাখ ছাড়ানোর ৪৭ দিন পর ৩১ মে রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ হয়। ৯ জুলাই ১০ লাখ ছাড়ানোর ১০ দিনের মধ্যে আরও ১ লাখ রোগী শনাক্ত হয়। ২৮ জুলাই রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়ায়।

উদ্বেগ থাকলেও প্রথম কয়েক মাসে দেশে করোনাভাইরাস সেভাবে ছড়ায়নি। তবে গত বছরের মে মাস থেকে ব্যাপকভাবে সেটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তখন আক্রান্তের হটস্পট ছিল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের মতো জনবহুল শহরগুলো।

গত শীতে দ্বিতীয় ঢেউ আসার উদ্বেগ থাকলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই কমে আসে। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে যায়, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় মহামারি নয়; নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি। তবে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে থাকে।

দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতে করোনার নতুন ধরন বা ভ্যারিয়েন্টের কথা জানা যায়। এই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের দ্রুত অসুস্থ করে দেয়, আবার অক্সিজেনও লাগে বেশি। দ্রুত ছড়ানোর পাশাপাশি মৃত্যু হারও থাকে বেশি।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের এ ধরন ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয় ২৪ এপ্রিল। কিন্তু বিধিনিষেধ না মানায় ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকানো যায়নি।

প্রথমে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রাজশাহী অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরে তা ছড়ায় খুলনা বিভাগে। সেই সঙ্গে ঢাকা বিভাগের বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল আর টাঙ্গাইল এলাকাতেও সংক্রমণ ঘটে ভাইরাসটির।

পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় গত ২২ জুন থেকে ঢাকাকে ঘিরে রাখা সাত জেলায় যান চলাচল বন্ধ করে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতেও কাজ না হওয়ায় ১ জুলাই থেকে শুরু হয় শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া কঠোর লকডাউন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় কঠোর বিধিনিষেধ বা শাটডাউন দিচ্ছে সরকার। কোরবানি ঈদের আগে দুই সপ্তাহের শাটডাউনের পর ঈদের পর থেকে চলছে আরও ১৪ দিনের শাটডাউন, যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত।

এ বিভাগের আরো খবর