বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক সপ্তাহে শনাক্ত বেড়েছে ৬০ শতাংশ, মৃত্যু দেড় হাজার

  •    
  • ৩১ জুলাই, ২০২১ ২০:২০

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সপ্তাহভিত্তিক বিশ্লেষণে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে (২৫ থেকে ৩১ জুলাই) করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ২০০টি। আর গত সপ্তাহে (১৮ থেকে ২৪ জুলাই) পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২ লাখ ২ হাজার ১৪০টি। অর্থাৎ গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হার বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৯১ শতাংশ।

চলতি সপ্তাহে গত সপ্তাহের তুলনায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। এ সময় মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ জনের।

এ ছাড়া নমুনা পরীক্ষা ও সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়েছে।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সপ্তাহভিত্তিক বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে আসে। অধিদপ্তর জানায়, চলতি সপ্তাহে (২৫ থেকে ৩১ জুলাই) করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ২০০টি। আর গত সপ্তাহে (১৮ থেকে ২৪ জুলাই) পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২ লাখ ২ হাজার ১৪০টি। অর্থাৎ গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হার বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৯১ শতাংশ।

একইভাবে চলতি সপ্তাহে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ১৪০ জন আর গত সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছিলেন ৬০ হাজার ৯৩৩ জন। আগের সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে ৫৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে সুস্থ হয়েছেন ৮৯ হাজার ৮৭৩ জন আর গত সপ্তাহে সুস্থ হয়েছিলেন ৬৫ হাজার ১১৭৬ জন। অর্থাৎ সুস্থ হওয়ার হারও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৭৭ জন। গত সপ্তাহে মারা গেছেন ১ হাজার ৬৩৯ জন। সে হিসেবে চলতি সপ্তাহে আগের সপ্তাহের চেয়ে মৃত্যুহার বেড়েছে ১৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ জনের শরীরে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৬৮৫ জনের।

দেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। উদ্বেগ থাকলেও প্রথম কয়েক মাসে ভাইরাসটি সেভাবে ছড়ায়নি। তবে মে মাস থেকে ব্যাপকভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তখন আক্রান্তের হটস্পট ছিল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের মতো জনবহুল শহরগুলো।

গত শীতে দ্বিতীয় ঢেউ আসার উদ্বেগ থাকলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু—দুটিই কমে আসে। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে যায়, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় মহামারি নয়, নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি। তবে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতে করোনার নতুন ধরনের কথা জানা যায়। সেই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের দ্রুত অসুস্থ করে দেয়, তাদের অক্সিজেন লাগে বেশি। ছড়ায়ও দ্রুত, তাই মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয় ২৪ এপ্রিল। কিন্তু বিধিনিষেধ না মানায় ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকানো যায়নি। প্রথমে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রাজশাহী অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরে তা ছড়ায় খুলনা বিভাগে। সেই সঙ্গে ঢাকা বিভাগের বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল আর টাঙ্গাইল এলাকাতেও সংক্রমণ ঘটে ভাইরাসটির।

পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় গত ২২ জুন থেকে ঢাকাকে ঘিরে রাখা সাত জেলায় যান চলাচল বন্ধ করে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এতেও কাজ না হওয়ায় ১ জুলাই থেকে শুরু হয় শাটডাউন। জনগণের চলাচল রোধে সরকার এবার যে কঠোর, তার প্রমাণ মেলে সেনাবাহিনী মোতায়েনেই। শাটডাউন প্রথমে সাত দিনের জন্য দেয়া হলেও পরে তা বাড়ানো হয় আরও সাত দিন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে শাটডাউন আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়। এতে উদ্বেগ জানায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে ঈদের তৃতীয় দিন সকাল থেকেই আবার ১৪ দিনের শাটডাউনে যায় দেশ, যা শেষ হবে ৫ আগস্ট। দ্রুতগতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় চলমান লকডাউন আরও বাড়ানোর সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ বিভাগের আরো খবর