বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০০ ডাক্তার ৩০০ নার্স চায় রামেক হাসপাতাল 

  •    
  • ৩১ জুলাই, ২০২১ ০৮:২৮

প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানকার সাধারণ ওয়ার্ডগুলোকে একে একে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়। বর্তমানে এখানে করোনা ইউনিটের বেডসংখ্যা ৫১৩টি। ঈদের আগে এখানে প্রতিদিনই রোগী থাকতেন ৫০০-এর ওপরে। তবে ঈদের পর এ সংখ্যা কিছুটা কমেছে। শুক্রবার সকালে এখানে রোগী ছিলেন ৪২৫ জন।

করোনা রোগীর চাপ সামলাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একের পর এক ওয়ার্ড করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তরিত হচ্ছে। যুক্ত হচ্ছে করোনা ইউনিটের সঙ্গে।

এই ইউনিট সম্প্রসারণ হতে হতে এখন হাসপাতালের প্রায় অর্ধেক বেডই করোনা রোগীদের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

করোনা শনাক্ত হয়ে অথবা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ৪ শতাধিক রোগী সামলাতে এখন হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগী বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্স সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আরও ১০০ চিকিৎসক এবং ৩০০ নার্স চেয়েছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

চলতি বছরের মে মাসের পর থেকে রামেক হাসপাতালে বাড়তি চাপ তৈরি হয় করোনা রোগীদের। জুনে এই চাপ অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছে।

প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানকার সাধারণ ওয়ার্ডগুলোকে একে একে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়। বর্তমানে এখানে করোনা ইউনিটের বেডসংখ্যা ৫১৩টি। ঈদের আগে এখানে প্রতিদিনই রোগী থাকতেন ৫০০-এর ওপরে। তবে ঈদের পর এ সংখ্যা কিছুটা কমেছে। শুক্রবার সকালে এখানে রোগী ছিলেন ৪২৫ জন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীর অস্বাভাবিক চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এ ছাড়া করোনা রোগীদের জন্য নতুন নতুন ওয়ার্ড ছেড়ে দেয়ার কারণে অন্য সাধারণ রোগের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। করোনা রোগীদের জায়গা দেয়ার ব্যবস্থা হলেও চিকিৎসক সংকট নিয়ে অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখেই রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এখন প্রায় ৩০ জন রোগীর জন্য চিকিৎসক থাকছেন একজন করে। ফলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

রামেক হাসপাতালে এখন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), কেবিন এবং সাধারণ ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে করোনা ইউনিট করা হয়েছে। মোট করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা ৫১৩টি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা ইউনিটে দায়িত্বপ্রাপ্ত মোট চিকিৎসক ১২৪ জন। নার্স রয়েছেন ৫২৫ জন। এছাড়া দৈনিক মজুরিভিত্তিক ৩৭০ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা আয়া বা চিকিৎসা সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। চিকিৎসক, নার্স ও আয়াদের সবাই একটানা ১৪ দিন করে কাজ করেন। পরের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকেন। অর্ধেক যে চিকিৎসক-নার্স দায়িত্ব পালন করেন, তাদের মধ্যে তিনটি শিফট ভাগ করা আছে। তিন শিফটের দুটিতেই প্রতি ওয়ার্ডে থাকেন একজন চিকিৎসক।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘সাধারণ ওয়ার্ডে আমাদের এখানে ১০ জন রোগী দেখভাল করেন একজন ডাক্তার। করোনা ওয়ার্ডে সেটা হচ্ছে না। আমারা ডাক্তার বাড়াচ্ছি। আগে সকালে একজন থাকতেন, এখন সেটি বাড়িয়ে দুইজন করা হয়েছে। কিন্তু বিকাল ও রাতে একজন করেই দায়িত্ব পালন করছেন। সেটিও যেন বাড়ানো যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি।’

‘আমরা ডাক্তার-নার্স বাড়ানোর জন্য বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে বলছি। এখন সব জায়গায় করোনার জন্য তারাও দিতে পারছে না। তবে সরকার সম্প্রতি আমাদের কাছে একটি চাহিদা চেয়েছিল। ১০০ জন ডাক্তার এবং ৩০০ জন নার্স লাগবে বলে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগে জানিয়েছি। দুই-আড়াই মাসের মধ্যে এই নিয়োগ হবে। তখন হয়তো পাওয়া যাবে। এখন আমরা মজুরিভিত্তিক জনবলও বাড়াচ্ছি।’

হাসপাতাল পরিচালক জানান, ‘আইসিউইতে প্রত্যেক করোনা রোগীর জন্য একজন করে নার্স দরকার। রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ১০৫ জন নার্স ডিউটি করেন। এদের অর্ধেক থাকেন কোয়ারেন্টাইনে। বাকি অর্ধেক তিন শিফটে ডিউটি করেন। ২০টি আইসিইউ শয্যার জন্য সেক্ষেত্রে ১৭ জন নার্স পাওয়া যায়। আইসিইউতে আরও নার্স দিতে পারলে ভাল হতো।’

এ বিভাগের আরো খবর