বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ডেঙ্গু শনাক্ত প্রায় ২০০

  •    
  • ২৯ জুলাই, ২০২১ ১৭:৪৮

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। মানুষ এখন ঈদের জন্য গ্রামের বাড়িতে গেছে, যা ৬৪টি জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা শহরে যে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা রয়েছে, লকডাউনের কারণে সেগুলো এখন বন্ধ। এগুলো এখন এডিস মশার প্রজননের বড় ক্ষেত্র।’

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দৈনিক আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ১৯৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ১৮১ জন। আর বিভাগের বাইরের ১৩ জন। আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৫৩। গত সোমবার ১৪৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আরও জানানো হয়, এখন পর্যন্ত এই মাসে ১ হাজার ৯২০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ১ হাজার ৬৪৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৬৪২ রোগী।

ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৬১৮ জন।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগী ২ হাজার ২৯২ জন।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে চারজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে।

করোনার মধ্যে ডেঙ্গুর এই বিস্তার নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে সরকার। দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র জানিয়েছেন, ডেঙ্গু বেড়েছে।

এডিসের উপযোগী পরিবেশ দেখা গেলে ভবনে অভিযান চালিয়ে নানা সময় নগর কর্তৃপক্ষ জরিমানাও করেছে।

ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ায় মশার মাধ্যমে। আর অন্য মশার সঙ্গে ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহী এডিস মশার পার্থক্য আছে। এই মশাগুলোর জন্ম হয় ঘরের আবদ্ধ পরিবেশে। ফলে নাগরিকরা সচেতন না হলে এই রোগ প্রতিরোধ করা কঠিন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

২০১৯ সালে ডেঙ্গু রোগে ব্যাপক প্রাণহানি ও লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর গত বছর সতর্ক অবস্থানে ছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।

২০২০ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ১ হাজার ৪০৫ জন, যাদের মধ্যে ৬ জন মারা যান। এর আগের বছর ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার ঘটে। সেবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখের বেশি, যাদের মধ্যে মারা যায় ১৭৯ জন। গত বছরে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটা কমলেও এ বছর পরিস্থিতি এখনই খারাপের দিকে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। মানুষ এখন ঈদের জন্য গ্রামের বাড়িতে গেছে, যা ৬৪টি জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা শহরে যে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা রয়েছে, লকডাউনের কারণে সেগুলো এখন বন্ধ। এগুলো এখন এডিস মশার প্রজননের বড় ক্ষেত্র।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে মশা নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার, এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করাসহ অন্য উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর