করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা আরও কমিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ২৫ বছরের ঊর্ধ্ব সবাই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস)-এর পরিচালক মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে। এমনকি সুরক্ষা অ্যাপে এখন ২৫-ঊর্ধ্ব সবাই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।’
চলতি বছরের শুরুতে দেশে শুরু হয় করোনারোধী টিকা কার্যক্রম। শুরুতে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয় ৫৫-ঊর্ধ্ব। পরবর্তীতে তা কমিয়ে ৪০ করা হয়। এরপর আরও দুই দফা বয়সসীমা কমিয়ে করা হয় ৩০ বছর।
টিকা কার্যক্রমের বিস্তৃতি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আগস্ট থেকে গ্রামে গ্রামে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টিকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর বয়সসীমা আরও কমিয়ে ১৮ বছর পর্যন্ত করা যায় কি না আলোচনা চলছে সে ব্যাপারেও।
করোনার টিকা গ্রহণের বয়স সরকার ধীরে ধীরে কমাচ্ছে টিকার সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হওয়ার কারণে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ধাপে ধাপে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা আসবে আর বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে উঠা জোট কোভ্যাক্স প্রায় সাত কোটি পাঠাবে, এটা ধরে নিয়েই শুরু হয়েছিল কার্যক্রম। অনলাইনে নিবন্ধন করে এই টিকা নিতে হতো।
তবে মার্চে দ্বিতীয় চালানের ২০ লাখ পাঠানোর পর সিরাম আর টিকা পাঠাতে পারেনি। পরে সরকার চীনের সঙ্গে চুক্তি করে।
আর সিরাম থেকে টিকা না পেয়ে কোভ্যাক্স এখন পাঠাচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্নার টিকা। আর আগামী কয়েক মাসে ২১ কোটি টিকার সংস্থান হয়ে যাবে বলে সরকার জানাচ্ছে।
এ কারণে আগামী ৫ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হচ্ছে গণটিকা। আর এ জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করার বাধ্যবাধকতাও তুলে দেয়া হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই দেয়া হবে টিকা।