করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষায় পাবনায় আরটিপিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের উদ্বোধন করেছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
এই ল্যাবে প্রতি শিফটে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।
এতদিন জেলায় পিসিআর ল্যাব না থাকায় এর আগে পার্শ্ববর্তী রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে নমুনা পরীক্ষা করতে হতো। এতে সময় বেশি লাগার পাশাপাশি সংগ্রহকৃত নমুনা নষ্ট হয়ে পরীক্ষার সঠিক ফল পেতেও অসুবিধায় পড়তেন রোগীরা।
পাবনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বুলবুল হাসান জানান, সম্প্রতি পাবনাসহ দেশের ২০টি মেডিক্যাল কলেজের জন্য অত্যাধুনিক পিসিআর মেশিন বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও লোকবল নিয়োগে বরাদ্দ না থাকায় এসব ল্যাব চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না। তবে এ সংকট দূর করতে এগিয়ে আসেন সংসদ সদস্য প্রিন্স।
পাবনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাবেক দুদক কমিশনার সাহাবু্দ্দিন চুপ্পু ও সাধারণ সম্পাদক রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সেলিম রেজার উদ্যোগে ল্যাবের জন্য প্রয়োজনীয় বায়োসেফটিক কেবিনেট দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনবল বরাদ্দ না থাকায় তাদের বেতন ভাতা জটিলতায় ল্যাবের কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছিল না। এ সংকট দূর করতে এগিয়ে এসেছেন প্রিন্স।
‘তিনি ল্যাবের দশজন টেকনিশিয়ানের বেতন ভাতার দায়িত্ব নেয়ায়, আমরা সরকারি বরাদ্দের অপেক্ষায় না থেকে ল্যাবে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি’-বলেন বুলবুল হাসান।
পিসিআর ল্যাবের উদ্বোধন শেষে প্রিন্স বলেন, ‘বারবার চেষ্টা করেও আমরা নানা জটিলতায় পাবনায় করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করতে পারছিলাম না। পিসিআর ল্যাব পরিচালনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সরকারি বরাদ্দ না আসা পর্যন্ত আমি এখানে কর্মরত জনবলের বেতন ভাতার দায়িত্ব নিয়েছি। আশা করছি ল্যাবটি পরিচালনায় পাবনাবাসী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করবে।’
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল রহমান, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, সিভিল সার্জন মনিসর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।