বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিলেট, চট্টগ্রামে বেড়েছে মৃত্যু-শনাক্ত

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২১ ১৪:০৪

করোনা ও উপসর্গ নিয়ে বগুড়ায় ২১, রাজশাহীতে ১৮, চট্টগ্রামে ১৭, খুলনায় ১২ ও ময়মনসিংহে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট বিভাগে ১৭ ও বরিশাল বিভাগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনা ও উপসর্গ নিয়ে বগুড়ায় ২১, রাজশাহীতে ১৮, চট্টগ্রামে ১৭, খুলনায় ১২ ও ময়মনসিংহে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট বিভাগে ১৭ ও বরিশাল বিভাগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার ৮টার মধ্যে সকালের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।

বগুড়া

জেলায় করোনা শনাক্ত হয়ে ৮ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃত্যু ৮ জনের মধ্যে ৬ জন বগুড়ার বাসিন্দা।

জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান তুহীন জানান, এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হলো ৫৫৭ জনের।

যদিও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব বলছে, বগুড়ায় এ পর্যন্ত ৫৩৯ জন মারা গেছেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে। হিসাবের এই ফারাকের কারণ হলো, বগুড়ায় করোনা হয়ে অন্য জেলার বাসিন্দা মারা গেলে সে হিসাব এই দপ্তর আলাদাভাবে সংরক্ষণ করে।

জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, জেলায় নতুন ৪৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১০৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলায় মোট ১৮ হাজার ৫০৫ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। নতুন করে ১৬৫ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থতার সংখ্যা ১৬ হাজার ১১১।

গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে জেলার তিনটি হাসপাতালে ৫০৭ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন।

রাজশাহী

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা শনাক্ত হয়ে ৬ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে রাজশাহীর ৬, পাবনার ৭, নাটোরের ৩, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরের ১ জন করে আছেন।

হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫০ রোগী। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪০৩ জন।

সিলেট

এক দিনে সিলেট বিভাগে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫৫ জনে। এর আগে করোনায় এক দিনে এত মৃত্যু দেখেনি সিলেট।

এ ছাড়া বিভাগে আরও ৭৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা বিভাগটিতে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) সুলতানা রাজিয়া জানান, নতুন শনাক্ত হওয়া ৭৩৬ জনকে নিয়ে সিলেট বিভাগে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৬৫৪ জনের।

এক দিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৭৩৬ জনের ২৮৮ জনই সিলেটের বাসিন্দা। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের ১১৬ জন, হবিগঞ্জের ৫৪ ও মৌলভীবাজারের ২২৫ জন রয়েছেন।

এ দিকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫৩ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বিভাগে মারা যাওয়া ১৭ জন রোগীর মধ্যে ৯ জনই সিলেটের, ১ জন হবিগঞ্জ ও ২ জন সুনামগঞ্জের বাসিন্দা। এদিকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ জন করোনায় মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৭ জন। সব মিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৮৬ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৬২ জন, সুনামগঞ্জে ৬৭ জন, হবিগঞ্জে ২৯ জন ও মৌলভীবাজারে ২৮ জন ভর্তি।

এ দিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ৩৫৪ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যাদের মধ্যে ২৪০ জন সিলেটের বাসিন্দা। বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫৭৪ জন।

চট্টগ্রাম

জেলায় এক দিনে করোনায় মারা গেছেন ১৭ জন। এর মধ্যে ৭ জন মহানগর ও বাকি ১০ জন উপজেলার বাসিন্দা।

যা এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে করোনায় সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়।

চট্টগ্রামে এ নিয়ে করোনায় মারা গেছেন ৯৩২ জন।

এ সময় জেলায় সুস্থ হয়েছেন ৩০৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট ৫৪ হাজার ৯২২ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন।

বুধবার জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাবে ২ হাজার ৭৯২টি নমুনা ও অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে ৯১৫ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪১ জন শহরের ও ২৭৪ জন উপজেলার বাসিন্দা।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৪৩৬ জন।

ব‌রিশাল

বরিশাল বিভাগে করোনায় ৫ জন ও শনাক্ত হয়ে ৮ জন মারা গেছেন। মৃত‌দের ম‌ধ্যে ১০ জন ব‌রিশাল শের-ই বাংলা মে‌ডিক্যাল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসাধীন ছি‌লেন।

এই নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস জানান, বিভাগে নতুন করে ৮৫৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এর মধ্যে বরিশাল জেলায় শনাক্তের সংখ্যা ২৮৮, পটুয়াখালী‌তে ১৬৮, ভোলায় ১৭৬, পি‌রোজপু‌রে ৬৯, বরগুনায় ৭২ ও ঝালকা‌ঠি‌তে ৮১ জন।

ব‌রিশাল বিভা‌গে মোট ক‌রোনা রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৪২৮ জন।

ব‌রিশাল শের-ই বাংলা মে‌ডি‌ক্যাল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৫১ জন ভ‌র্তি ছিলেন। যার ম‌ধ্যে ১২৩ জনের ক‌রোনা প‌জি‌টি‌ভ। এ সময়ে ৫৮ জন নতুন রোগী ভ‌র্তি হ‌য়ে‌ছেন।

খুলনা

খুলনার ৩ হাসপাতালে এক দিনে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৫ জন, গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন ও আবু নাসের হাসপাতালে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, এ হাসপাতালে করোনা নিয়ে ১ ও উপসর্গ নিয়ে ৪ জন মারা গেছেন।

এ ছাড়া এ হাসপাতালে ১২৭ জন রোগী ভর্তি; যার মধ্যে আইসিইউতে ২০ জন। নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন।

গাজী মেডিক্যালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, এই হাসপাতালে মৃত ৪ জনের বাড়ি খুলনায়। হাসপাতালে ৭৩ জন রোগী ভর্তি; যার মধ্যে আইসিইউতে ৯ ও এইচডিইউতে ৯ জন।

এক দিনে নতুন ভর্তি হয়েছেন ১৫ রোগী। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ জন।

আবু নাসের হাসপাতালের মুখপাত্র প্রকাশ দেব নাথ জানান, এ হাসপাতালে মৃত ৩ জনের বাড়ি খুলনায়। ৪০ জন রোগী ভর্তি যার মধ্যে আইসিইউতে ১০ জন। এখানে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫ জন; বাড়ি ফিরেছেন ১ জন।

জেলা জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র আবু রাশেদ জানান, এ হাসপাতালে মোট রোগী রয়েছে ৪০ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ১২ জন; বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন। তবে এ হাসপাতালে কোনো মৃত্যু নেই।

সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ম্যানেজার জানান, এ হাসপাতালে মৃত্যু নেই । তবে ৬৪ রোগী ভর্তি যার মধ্যে আইসিইউতে ১০ ও এইচডিইউতে ২ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ৮ জন, বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৫ জন করোনা শনাক্ত হয়ে ও ৭ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন মহিউদ্দিন খান মুন জানান, বর্তমানে করোনা ইউনিটে ৪৪৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভর্তি হওয়া রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২১ জন। নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৬৭ জন। এক দিনে ৬৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম জানান, নতুন করে ১ হাজার ৩৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর