বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীক্ষা করান-টিকা নিন: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২১ ১৯:৫৫

‘মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক ছিল, ভয় ছিল যে টিকা নিলে কী হবে… টিকা নিলে অনেক কিছু হয়ে যাবে, নানা রকমের একটা ভীতি ছিল। এখন আস্তে আস্তে সবার সে ভীতি কাটছে। এখন একটা সমস্যা আছে, যেটা আমি গ্রাম থেকে খবর পাই। কেউ পরীক্ষা করতে চায় না। তাদের ধারণা, টেস্ট করলে করোনা আছে এটা শুনলে সে অচ্ছুত হয়ে যাবে, তার সঙ্গে মানুষ মিশবে না। এটা তো ঠিক নয়।’

করোনা থেকে বাঁচতে টিকা নেয়ার পাশাপাশি গ্রামগঞ্জের মানুষকে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করতে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, পরীক্ষা না করলে রোগটির বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হবে না।

মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিনের ব্যাপারে যেখানে যা পাওয়া যাচ্ছে আমরা তা জোগাড় করছি। এর জন্য আলাদা টাকা রাখা আছে। আরও লাগলে আরও টাকা দেব। কিন্তু বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ যারা ভ্যাকসিন নিতে পারে, ডব্লিউএইচওর নির্দেশ মোতাবেক সবাই যেন ভ্যাকসিন নিতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। প্রায় ১ কোটি ৮৭ লাখের মতো ভ্যাকসিন কিন্তু আমরা দিয়ে দিয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা আরও দিচ্ছি।’

বাংলাদেশে করোনার গণটিকা শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট প্রতিশ্রুত টিকা দিতে না পারায় এপ্রিল-মে মাসে টিকাদানের গতি একেবারে নেমে আসে। তবে সরকার এরপর চীন থেকে টিকা কিনে আনার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা জোট কোভ্যাক্স থেকেও এখন টিকা পাচ্ছে।

ফলে টিকার সংকট কেটে গেছে আর বাংলাদেশ ২১ কোটি টিকার সংস্থান করে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

টিকা বাড়ায় সরকার এখন ১৮ বছর বয়সীদেরও টিকা নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আর প্রথমে অনলাইনে নিবন্ধন করে টিকা দেয়া হলেও এখন টিকাদান কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একেবারে গ্রাম পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। সেখানে যে সবাইকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তা না, আইডি কার্ড নিয়ে সরাসরি টিকাকেন্দ্র রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবে, এ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতারও আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

টিকা নিয়ে আতঙ্ক কাটলেও পরীক্ষা নিয়ে ভীতি

যখন প্রথম টিকাদান শুরু হয়, তখন টিকা নিয়ে মানুষের ক্ষতি হয় কি না, এ নিয়ে নানা কথা ছড়ায়। এ কারণে টিকা নিতে অনীহাও দেখায় অনেক মানুষ। তবে সেটি এখন কেটে গেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক ছিল, ভয় ছিল যে টিকা নিলে কী হবে… টিকা নিলে অনেক কিছু হয়ে যাবে, নানা রকমের একটা ভীতি ছিল। এখন আস্তে আস্তে সবার সে ভীতি কাটছে।’

তবে করোনার পরীক্ষা নিয়ে অনীহা রয়ে গেছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এখন একটা সমস্যা আছে, যেটা আমি গ্রাম থেকে খবর পাই। কেউ পরীক্ষা করতে চায় না। তাদের ধারণা, টেস্ট করলে করোনা আছে এটা শুনলে সে অচ্ছুত হয়ে যাবে, তার সঙ্গে মানুষ মিশবে না।’

এটা তো ঠিক না- এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টেস্ট করলে তার যে চিকিৎসাটা হবে, সে যে ভালো হবে বা অন্যকে সংক্রমিত করবে না। সে নিজে বাঁচবে অন্যকে বাঁচাবে- এই ধারণা মানুষের মধ্যে দিতে হবে।’

গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি। বলেন, ‘এখন আমরা যদি ভ্যাকসিন দিয়ে দিতে পারি তাহলে তো আর চিন্তা নেই। তখন হলেও সেটা বেশি ক্ষতি হচ্ছে না।’

এ বিভাগের আরো খবর