কম বয়সের কারণে নিবন্ধন করতে না পারায় পদ্মা সেতুর দুই হাজার শ্রমিক এখনও টিকা নিতে পারেননি। এ কারণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হওয়ায় কাজ কিছুটা ধীরগতিতে হচ্ছে।
বিশেষ ব্যবস্থায় এসব শ্রমিকদের টিকার ব্যবস্থা করলে স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা শিথিল করে দ্রুত কাজ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পের অন্যতম নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের অবশ্য শ্রমিকদের বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত শনিবার মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সেতু এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে শ্রমিকদের দ্রুত টিকাদানের ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য নতুন টিকা আসলে দুই হাজার শ্রমিকের জন্য চার হাজার ডোজ বিশেষভাবে রাখার জন্য বলেছেন। ওই টিকা পেলে শ্রমিকদের দেয়া হবে।
এ প্রকৌশলী জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার দেশি বিদেশি শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। তাদের মধ্যে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক-কর্মচারী করোনার টিকা নিয়েছেন। তবে বয়স কম হওয়ায় এখনও টিকার আওতায় আসেননি দুই হাজার শ্রমিক।
তিনি জানান, টিকা গ্রহণের নিয়ম অনুযায়ী, যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি তারা টিকা নিতে পারছেন। প্রকল্পের ত্রিশোর্ধ্ব অধিকাংশই টিকা নিয়েছেন। তবে শ্রমিকদের বড় একটি অংশের বয়স ১৮ থেকে ৩০-এর মধ্যে। তারা টিকার জন্য নিবন্ধনই করতে পারছেন না।
সব শ্রমিক টিকা না পাওয়ায় সেতুর কাজে প্রভাব নিয়ে প্রকৌশলী কাদের বলেন, ‘ভাইরাস কখন কোনো দিকে তা ঠিক বলা যায় না। আমাদের পক্ষ থেকে শতভাগ চেষ্টা করা হচ্ছে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য। কাজে কিছুটা প্রভাব পড়লেও ভিতরে (প্রকল্প এলাকায়) শ্রমিকরা লকডাউনের মতো অবস্থায় থাকেন।
‘প্রতিদিন কাজে প্রবেশের সময় শ্রমিকদের তাপমাত্রা মাপা ও লক্ষণ দেখা হয়। কোনো শ্রমিক-কর্মচারী যদি ছুটিতে যান, তারা ফিরে আসলে নিয়ম অনুযায়ী ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর কাজে যোগ দিতে পারেন।’
তিনি জানান, সম্প্রতি দুই শ্রমিকের করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন। তারা নেগেটিভ আসার পর কাজে যোগ দিতে পেরেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শ্রমিকরা কাজে অংশ নিচ্ছেন।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গেছে, ৩০ জুন পর্যন্ত মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ। আর প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৭ শতাংশ। আর্থিক ক্ষেত্রে এ অগ্রগতি ৯১.৫০ শতাংশ।