বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৪ কোটি মানুষের জন্য টিকার সংস্থান

  •    
  • ২৬ জুলাই, ২০২১ ১৫:৩৪

টিকা ও অক্সিজেন কোনোটি নিয়েই সমস্যায় পড়তে হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে আসা ভ্যাকসিন যেমন মর্ডানা, ফাইজার পর্যাপ্ত টিকা শিগগিরি সরকারের হাতে চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

করোনা প্রতিরোধী ২১ কোটি টিকার সংস্থান হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আর এই ২১ কোটি ডোজ দিয়ে দেশের ১৪ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে বের হয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ২১ কোটি টিকার হিসাব তুলে ধরেন জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ‘২১ কোটির হিসেবটা হলো তিন কোটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে আমরা পাব। ৭০ লাখ পেয়ে গেছি। তিন কোটি আমরা চায়না সিনোফার্ম থেকে কিনছি। তার একটা অংশ অলরেডি চলে আসছে। বাকিটুকু আসতে থাকবে।’

রাশিয়া থেকে এক কোটি টিকা আসবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এক কোটি রাশিয়ার সঙ্গে। হয়ে গেল সাত কোটি। আর কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে আমরা ভ্যাকসিন পাচ্ছি অলরেডি। যেমন মর্ডানা, ফাইজার সেখান থেকে আসবে ছয় কোটি ৮০ লাখ। সাত কোটি ধরেন আর কি। জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে কথা হয়েছে সাত কোটি ভ্যাকসিনের জন্য। সেটা আগামী বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে হয়ত বা আমরা পাব। টোটাল ২১ কোটি।’

তিনি বলেন, ‘২১ কোটি ভ্যাকসিন দিয়ে ১৪ কোটি লোককে আমরা ভ্যাকসিন দিতে পারব। অর্থাৎ ৮০ শতাংশ লোককে আমরা টিকা দিতে পারব।’

টিকা সংরক্ষণ সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোল্ড চেইনের ব্যবস্থা আমরা করছি। এখনও আছে। যেখানে আল্ট্রা লো চেম্বারে রাখতে হয়। ফাইজারটা ৩০/৪০ লাখ ডোজ রাখার ক্ষমতা আছে। ডব্লিউএইচও আরও দিচ্ছে ৩০/৪০ লাখ। সেটাও চলে আসবে। সেটাও আমরা রাখতে পারবো। রাখার কোনো সমস্যা হবে না।’

ইপিআইসহ নরমাল টিকা আট কোটি ডোজ রাখার সক্ষমতা দেশে আছে বলেও জানান তিনি।

বয়স্ক লোকদের বাসায় গিয়ে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা আছে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সেরকম পরিস্থিতি যদি দাঁড়ায় যে আসতে পারছেন না, তখন একটা বিকল্প ব্যবস্থা অবশ্যই চিন্তা করব। আমরা চাই সকলকে টিকা দিতে।’

দেশে অক্সিজেন ঘাটতি নেই

অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি হবে না বলেও নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘গতকাল চলে এসেছে ২০০টন। প্রত্যেক সপ্তাহে ২০০ টন করে অক্সিজেন আসবে। এত লাগবেও না।’

অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে ৪৩টি অক্সিজেন জেনারেটর কেনার বিষয় চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘৪৩টা অক্সিজেন জেনারেটর আমরা ক্রয় করছি। অর্ডার দিয়ে দিচ্ছি। একেকটার ক্যাপাসিটি অনেক। ৫০০ লিটার পার মিনিট। সেটা একটা পুরো হাসপাতালকে দিতে পারবে।’

আগস্টে কেনা জেনারেটর চলে এলে দেশে আর অক্সিজেনের অভাব হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর