বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুলাইয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ

  •    
  • ২৫ জুলাই, ২০২১ ১৬:৪৮

‘জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমণ অত্যন্ত কম ছিল। এপ্রিল মাসে সেটি বাড়তে শুরু করে, জুন মাসে সেটি অব্যাহতভাবে বেড়ে যায় এবং জুলাই মাসে এসে সংখ্যাটি যেকোনো সময়ের থেকে সবচেয়ে বেশি হয়ে যায়। জুলাই মাসে ইতিমধ্যেই সংক্রমণের সংখ্যা ২ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।’

ঈদের ছুটিতে নমুনা পরীক্ষা কম হলেও করোনাভাইরাসের শনাক্তের হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি, চলমান লকডাউন সফল করার মাধ্যমে তার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডা. নাজমুল বলেন, ‘সাত দিনের করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে নমুনা সংগ্রহ কম হয়েছে, সে হিসাবে পরীক্ষাও কম হয়েছে। এর ফলে মোট রোগীর সংখ্যা কমেছে। তবে শতকরা হিসাবে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের নিচে নামেনি।

‘পরিসংখ্যান অনুসারে ২৪ জুলাই ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জুলাই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ২৩১ জনের। সবচেয়ে কম মারা গেছেন ২৩ জুলাই ১৬৬ জন। ২৯তম এপিডেমিক সপ্তাহে ২৪ জুলাই পর্যন্ত দুই লাখ দুই হাজার ১১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আগের সপ্তাহের তুলনায় পরীক্ষার হার ২৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে। ঈদের বন্ধের কারণে এই সংখ্যা কমতে পারে। তবে সুস্থতার হার ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে।’

জেলাভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘শনাক্তের হিসাবে ঢাকা জেলা শীর্ষে অবস্থান করছে। ঢাকায় ইতিমধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তারপর আছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা ও ফরিদপুর। সবচেয়ে কমসংখ্যক রোগী চিহ্নিত হয়েছে রাজশাহীতে ১৮ হাজার ৪১৬ জন। বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর হারেও এগিয়ে আছে ঢাকা। এরপরই রয়েছে খুলনা বিভাগ।’

তিনি আরও বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে ১৯ জুলাই করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ২৩১ জনের। সবচেয়ে কমসংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে ২৩ জুলাই ১৬৬ জন। গতকালও আমরা করোনায় ১৯৫টি মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছি।

‘জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমণ অত্যন্ত কম ছিল। এপ্রিল মাসে সেটি বাড়তে শুরু করে, জুন মাসে সেটি অব্যাহতভাবে বেড়ে যায় এবং জুলাই মাসে এসে সংখ্যাটি যেকোনো সময়ের থেকে সবচেয়ে বেশি হয়ে যায়। জুলাই মাসে ইতিমধ্যেই সংক্রমণের সংখ্যা ২ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।’

অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে করোনা ডেডিকেটেড যে হাসপাতালগুলো রয়েছে তাতে পাঁচ হাজার ৭১৭টি শয্যা আছে। তার মধ্যে এক হাজার ৯৬৩টি শয্যা গতকাল পর্যন্ত খালি ছিল। রাজধানীতে কোভিড ডেডিকেটেড আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৮৯৮টি, তার মধ্যে গতকাল খালি ছিল ১৩৭টি। সারা দেশে করোনা ডেডিকেটেড সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সর্বমোট ১৫ হাজার ৬৩০টি সাধারণ শয্যা আছে। সেগুলোর মধ্যে পাঁচ হাজার ৮৯৪টি শয্যা খালি ছিল।’

নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সর্বাত্মক যে লকডাউন চলছে আজ তার তৃতীয় দিন। সকলের সক্রিয় সমর্থনের মধ্য দিয়ে এটি সফল করা সম্ভব। সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি আছে, লকডাউন সেটিকে টেনে ধরতে পারবে। সংক্রমণ কমাতে লকডাউন একটি কার্যকর পদ্ধতি। এর পাশাপাশি যাদের টিকা নিতে নিবন্ধন হয়েছে, যারা টিকা দেয়ার জন্য উপযুক্ত আছেন কিন্তু যারা রেজিস্ট্রেশন করেননি, তারা অবিলম্বে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেন এবং দ্রুত টিকা গ্রহণ করেন।’

এ বিভাগের আরো খবর