লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গের রোগী থেকে সংগৃহীত নমুনার ফল তিন দিনেও মিলছে না। এতে রোগীর ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়ছে সংক্রমণ।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, লক্ষ্মীপুরে ১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪ হাজার ৬৫ জনের। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ১ হাজার ২৪৫ জন। এখনও ৩৭৪ জনের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
গত ২৩ দিনে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫ জন। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা ৬৫। এছাড়া করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৫২৬। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১০০ জন। জেলায় গড়ে করোনা শনাক্তের হার ২০।
স্থানীয় লোকজন জানান, করোনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করা হলেও সময় মতো ফল জানতে না পারায় চরম আতংকে দিন কাটছে রোগীদের। ওই সব রোগীর মাধ্যমে সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই আইসোলেশন থেকে বের হয়ে বাজার করছেন।
করোনা ইউনিটের সামনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় সামছুল ইসলাম খোকন, জাহাঙ্গীর আলম ও ইদ্রিস আলী জানান, করোনা উপসর্গের রোগী নিজেও সঙ্কটে আছেন, পরিবারের অন্য সদস্যরাও ঝুঁকি রয়েছেন। যথা সময়ে নমুনার রিপোর্ট না পাওয়ায় ঝুঁকি বাড়ছে কয়েকগুন।
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন আবদুল গফ্ফার বলেন, ‘করোনার অ্যান্টিজেন্ট টেস্টের রিপোর্ট দিনেই পাওয়া যাচ্ছে। তবে অন্য জেলায় পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে। আশাকরি দ্রুত এ সংকট কেটে যাবে।’
করোনার উচ্চ সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।