১৮ বছরের ওপরে সব নাগরিককেই টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বিঘ্ন রাখতে এবং অধিকাংশ নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে এখন থেকে ১৮ বছরের ওপরে দেশের সব নাগরিককেই ভ্যাকসিন দেয়া হবে।’
শনিবার বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন এক ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সরকারের আইসিটি বিভাগের আওতাধীন জাতীয় সুরক্ষা অ্যাপে ১৮ বছরের ওপরে সব নাগরিক যেন রেজিস্ট্রেশন করতে পারে, সে বিষয়ে একটি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।’
এর আগে ১৯ জুলাই ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সীরা করোনা টিকা নিতে নিবন্ধন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। টিকা নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ছিল ৩৫ বছর।
দেশে এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এর পরের দিন করোনার টিকার জন্য নিবন্ধনের জন্য ৪০ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করে সরকার। এর আগে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সরকারের হাতে ১ কোটির উপরে ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী মাসের মধ্যেই আরও দুই কোটি ভ্যাকসিন সরকারের হাতে চলে আসবে। এভাবে চীন থেকে ৩ কোটি, রাশিয়া থেকে ৭ কোটি, জনসন অ্যান্ড জনসন এর ৭ কোটি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ভ্যাকসিনসহ আগামী বছরের শুরুর দিকের মধ্যেই সরকারের হাতে প্রায় ২১ কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। আশা করা যাচ্ছে, এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমেই দেশের অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হবে সরকার।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের কাছে কোভিডের তৃতীয় ধাপ মোকাবিলায় বিছানার সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি মুবিন খান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অন্তত দুই হাজার নতুন কোভিড ডেডিকেটেড বিছানা বাড়ানোর আশ্বাস দেন।
গ্রামাঞ্চলে কোভিড রোগীদের শনাক্ত করার উদ্যোগ হিসেবে সরকার জেলা, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়াও খুব দ্রুত চার হাজার চিকিৎসক, চার হাজার নার্স, ৫০০ এনেসথেসিয়া কর্মীসহ প্রচুর টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজও এগিয়ে চলেছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় জানানো হয়, বর্তমানে বেসরকারি সেক্টরে হাসপাতালে প্রায় ৬০০টি আইসিইউ, ৬০০টি এইচডিইউ, প্রায় ৭০০ হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা এবং প্রায় ৬০০ ভেন্টিলেটর দিয়ে কোভিড চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে।