করোনাভাইরাস প্রতিরোধী চীনের টিকা দেশে উৎপাদনে এরই মধ্যে কিছু আনুষঙ্গিক কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
জাপান থেকে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ২ লাখ ৪৫ হাজার ডোজ গ্রহণের পর শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন করবে চীন। এ নিয়ে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।
‘গত ১৫ জুলাই উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন বাংলাদেশ চাইলে টিকা উৎপাদনের চুক্তির ঘোষণা ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে পাঠিয়ে দেব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, টিকা উৎপাদনের জন্য আগাম কোনো অবকাঠামো পরিদর্শন করার প্রয়োজন নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে চীনের টিকা কো-প্রোডাকশন করার জন্য পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে চীনের টিকা কো-প্রোডাকশন করা হবে, টিকা উৎপাদনে টেকনোলজি বা প্রযুক্তি দেয়া হচ্ছে না। কো-প্রোডাকশনের মাধ্যমে টিকা উৎপাদন করা হবে। তারা কাঁচামাল দেবে আমরা এখানে মডেলিং ও প্রক্রিয়াজাত করব। আমাদের প্রতিষ্ঠান এগুলো করার জন্য সক্ষমতা রয়েছে।’
আব্দুল মোমেন বলেন, টিকা নিয়ে ভবিষ্যতে আর কোনো সংকট হবে না। বিভিন্ন উৎস থেকে দেশে টিকা আসা শুরু হয়েছে।
দেশে ৮০ শতাংশ মানুষের টিকা নিশ্চিতে প্রায় ২৭ কোটি টিকা প্রয়োজন। কতটুকু এটা সম্ভব হয়েছে এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কত টিকা নিশ্চিত হয়েছে এটা স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় বলতে পারবে। দুই কোটির বেশি টিকা দেশে আসছে। পাইপলাইনে রয়েছে আরও অনেক টিকা। আমরা আশা করি, আগামী কয়েক মাসে টিকার কোনো অভাব হবে না। তবে আমরা যদি স্থানীয়ভাবে উৎপাদন না করতে পারি তাহলে টিকার দাম বেশি পড়বে। এ কারণে আমরা স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপদানে জোর দিচ্ছি।
‘স্থানীয়ভাবে টিকা তৈরি বিকল্প নেই। আমরা এ বিষয়ে প্রস্তাবও পেয়েছি। খুব দ্রুত আমরা কো-প্রোডাকশন যাব। অন্যান্য অনেক দেশ ইতোমধ্যে কো-প্রোডাকশনে গেছে। তারা মোটামুটিভাবে ভালো করছে।’
টিকা গ্রহণের সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তিনি জানান, তার দেশ থেকে আগামী এক মাসের মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার আরও ২৮ লাখ ডোজ বাংলাদেশে আসবে।