বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্রামে এনআইডি ছাড়াই করোনার টিকা

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২১ ১৪:২৮

মুগদা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, টিকাদান পদ্ধতি সহজ করার চিন্তা করছে সরকার। গ্রাম এলাকায় যারা নিবন্ধন করতে পারছেন না, তাদের জন্য এনআইডি ছাড়া জাতীয় টিকাদান যেভাবে হয়, সেইভাবে করার চিন্তা করছে সরকার।

গ্রাম ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলোতে করোনাভাইরাসের টিকাদান সহজ করতে চায় সরকার। এর অংশ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়াই ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের টিকা নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম শুক্রবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

মুগদা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টিকাদান পদ্ধতি সহজ করার চিন্তা করছে সরকার। গ্রাম এলাকায় যারা নিবন্ধন করতে পারছেন না, তাদের জন্য এনআইডি ছাড়া জাতীয় টিকাদান যেভাবে হয়, সেইভাবে করার চিন্তা করছে সরকার।

তিনি বলেন, ‘করেনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে শুক্রবার সকালে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল আসছিলাম। এই হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা দেখে আমরা সন্তুষ্ট। এখানে এসে আমি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। এমনকি করোনা রোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি।

‘একটা জিনিস আমি লক্ষ করেছি, এখনও যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন, তাদের অনেকেই টিকা দেননি। কেন দেয়নি জানতে চাইলে তারা বলেন, অনেকে ভয় থেকে দেয়নি; গ্রামে ছিল এই কারণে দেয়নি। এমন অনেক কথা বলেছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘টিকা নিয়েছেন এমন কিছু লোকের সঙ্গে আমরা কথা বললাম। তারা জানিয়েছেন অন্যান্য করোনা রোগী থেকে তারা একটু বেশি সুস্থ রয়েছেন। এমনকি তাদের উপসর্গও অনেকটা কম।’

করোনা প্রতিরোধে টিকা বড় ভূমিকা পালন করছে জানিয়ে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ‘সবাইকে করোনার টিকা দেয়া উচিত। এমনকি অনেক নার্স এখনও টিকা দেয়নি। এই হাসপাতালে অনেক স্বাস্থ্যকর্মী এখনও টিকা দেয়নি।

‘সবাইকে বলব, সবাই এখন টিকা দিবেন। টিকা দিলে সবার জন্য ভালো হবে। টিকা নেয়ার পরও অনেকেই আক্রান্ত হবে। তবে তাদের ঝুঁকি অনেক কম থাকে। অনেকের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় না টিকা দিলে।’

ঈদের আগে দুই সপ্তাহের লকডাউনে কোনো প্রভাব পড়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেই লকডাউনের ফল আমরা এখনও পাইনি। তবে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেশি ছিল।

‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া, নওগাঁয় এখন একটু সংক্রমণ কমে আসছে। লকডাউনের ফলে কমপক্ষে তিন-চার সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।’

আরেক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ‘টিকা নেয়ার বয়সসীমা কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন; সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৮ করার জন্য জানিয়েছেন।

‘আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আলোচনা করে ঠিক করব কীভাবে এটা করা যাবে। নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব। তবে এটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর