বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুনের চার গুণ ডেঙ্গু রোগী জুলাইয়ের ২১ দিনে

  •    
  • ২১ জুলাই, ২০২১ ১৯:৫১

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সবাই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত সারা দেশে রোগী ভর্তি আছে ৪০৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৯৮ জন ও ঢাকার বাইরে ৮ জন।

জুলাইয়ের ২১ দিনে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা গত মাসের তুলনায় চার গুণ হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে রোগীর সংখ্যা ৯৮৮ জন হয়েছে। তবে জুন মাস জুড়ে এই সংখ্যা ছিল ২৭২ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সবাই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত সারা দেশে রোগী ভর্তি আছে ৪০৬ জন। এরমধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৯৮ জন ও ঢাকার বাইরে ৮ জন।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ১,৩৬০ রোগী ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ভালো হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৫১ জন। তবে চলতি বছর ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেয়ার মধ্যেই বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু রোগে ব্যাপক প্রাণহানি ও লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর গত বছর সতর্ক অবস্থানে ছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।

২০২০ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ১,৪০৫ জন, যাদের মধ্যে ৬ জন মারা যান। এর আগের বছর ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার ঘটে। সেবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক লাখের বেশি, যাদের মধ্যে মারা যান ১৭৯ জন। ২০১৯ সালের জুনে আক্রান্ত হন ১ হাজার ৮৮৪ জন, জুলাইয়ে সেটা পৌঁছায় ১৬ হাজারে। গত বছরে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটা কমলেও এ বছর আবারও খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি।

এবছর এপ্রিল মাসের শুরু থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা করছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তবে এবার ডেঙ্গু আগের বছরের তুলনায় বাড়লেও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীরা বাড়িতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করেই সুস্থ হয়ে থাকেন৷ মাত্র ৫ শতাংশ রোগীদের কেবল অবস্থার অবনতি হয় এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে হয়৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার নিউজবাংলাকে বলেন, এডিসের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে আমাদের র‍্যাপিড অ্যাকশন দরকার। সেটি শুধু সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নয়। নগরবাসী ও সিটি করপোরেশন মিলে এডিস মশা জন্মানোর স্থান ধ্বংস করতে হবে। নগরবাসীর উচিত নিজের বাসার ভেতর ও বাইর পরিষ্কার রাখা। আর সিটি করপোরেশন বাড়ির বাইরের দায়িত্ব পালন করবে।

এ বিভাগের আরো খবর