রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে গিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
সোমবার ৩ টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালে এসে পোঁছান খালেদা। ৩টা ৫৫ মিনিটে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গাড়িতে বসেই টিকা নেন তিনি।
খালেদা জিয়াসহ ছয়জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। বাকি পাঁচজন বিএনপি নেত্রীর পরিবারের সদস্য। তাদের সবাইকে দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবিত টিকা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগে থেকেই হাসপাতাল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম বাসায় টিকা নেয়ার জন্য। কিন্তু সরকার সেই আমাদের আবেদন রাখেনি। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই হাসপাতালে টিকা দিতে আসছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
‘টিকা নেয়ার পরে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি খালেদা জিয়ার। টিকা গ্রহণের পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট গাড়িতে অবস্থান করেন। এরপর আবার শুলশান বাসায় ফেরেন তিনি।’
গত ৮ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে টিকার জন্য নিবন্ধন করেন খালেদা জিয়া। তার টিকা নেয়ার কেন্দ্র আসে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এখনও খালেদা জিয়ার করোনা-পরবর্তী চিকিৎসা চলছে।
খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয় গত ১৪ এপ্রিল। প্রথম দিকে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন তিনি। পরে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ৯ মে তার করোনা পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ আসে।
তারপরও শারীরিক সমস্যা থাকায় প্রায় দেড় মাস তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়। কিছুদিন সেখানকার করোনারি কেয়ার ইউনিটেও (সিসিইউ) রাখা হয়েছিল বিএনপি নেত্রীকে।
খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তবে করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর তার আর্থ্রাইটিসসহ পুরোনো অনেক রোগের উপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়ায় সেগুলোর জটিলতা বেড়েছে। এর মধ্যে হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে বিএনপি থেকে বলা হয়েছে।