করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গাজীপুরে কারখানার শ্রমিকদের করোনা টিকাদান শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে চারটি কারখানার ১২ হাজার শ্রমিককে এই টিকা দেয়া হবে।
মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় তুসুকা ডেনিম কারখানায় নিবন্ধন ছাড়াই এনআইডি দিয়ে রোববার সকালে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পর্যায়ক্রমে সব পোশাকশ্রমিককে টিকা দেয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের টিকাদান কর্মসূচি মূলত হাসপাতালকেন্দ্রিক। কিন্তু আমরা পোশাকশ্রমিকদের জন্য গার্মেন্টসে গার্মেন্টসে গিয়ে টিকা দিচ্ছি।
‘এ কাজটি করতে আমরা দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমাদের টিমকে প্রশিক্ষিত করেছি, ভ্যাক্সিনেটরদের প্রশিক্ষিত করেছি। আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বোরবার ১২ হাজার টিকা দেয়ার চেষ্টা করব। যতক্ষণ এটা শেষ না হয় ততক্ষণ চলবে। আগামীকাল আরও ৮টি গার্মেন্টসের শ্রমিকদের টিকা দেয়া হবে।’
তুসকা কারখানার শ্রমিক সুমাইয়া বলেন, ‘টিকা দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। নিজেকে এখন অনেকটাই নিরাপদ মনে হচ্ছে। সরকারকে ধন্যবাদ পোশাকশ্রমিকদের জন্য এমন একটা সুযোগ করে দেয়ায়।’
গাজীপুরে চারটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের এনআইডি দিয়ে টিকাদান শুরু হয়েছে। কারখানাগুলো হলো লক্ষ্মীপুরা এলাকার স্পেরো অ্যাপারেলস লিমিটেড, কোনাবাড়ী এলাকায় তুসকা গ্রুপের দুটি ও ভোগড়া এলাকার রোজভ্যালি।
জেলা সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার অপরাধ (উত্তর) জাকির হাসানসহ আরও অনেকে।