বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর খবর জানতে ভারতে দোরাইস্বামী

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২১ ১১:৪১

আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘যদি ভারতে জোগান বেড়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর আশা কতটুকু, আমি গিয়ে সেটি সম্পর্কে জানতে পারব। চেষ্টা থাকবে, দ্রুত বাংলাদেশকে টিকা দেয়ার। যদি টিকার জোগান বাড়ে তাহলেই এটি সম্ভব হবে।’

বাংলাদেশকে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রতিশ্রুত টিকা দেয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা জানতে দিল্লিতে যাচ্ছেন বলে জানালেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী। জানিয়েছেন, ভারতে করোনাভাইরাসের টিকার জোগান বাড়লে বাংলাদেশকেও টিকা দেয়া হবে।

রোববার সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

শুরুতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাতিত কোভিশিল্ড টিকা দিয়েই করোনারোধী টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে ছিল বাংলাদেশ। এ জন্য ভারতের সিরামের সঙ্গে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তিও করে সরকার।

চুক্তি অনুযায়ী, সিরাম থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা আসার কথা ছিল দেশে। কিন্তু দুই মেয়াদে ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আর কোনো টিকা পাঠাতে পারেনি সিরাম। অবশ্য কেনা টিকার বাইরে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে আরও ৩৩ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে ভারত।

দিল্লি থেকে টিকা পাঠানো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় থমকে যায় দেশে করোনারোধী টিকা কার্যক্রম। বাধ্য হয়ে টিকার জন্য চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে সরকার। চীনের সঙ্গে চুক্তিও করে সরকার। এর অংশ হিসেবে আসতে শুরু করেছে চীনের সিনোফার্মের টিকা। এ ছাড়া, করোনা টিকার সুষ্ঠু বণ্টনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গড়ে তোলা ফ্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকেও টিকা আসতে শুরু করেছে।

সিরাম থেকে কেনা টিকার বাকি ডোজগুলো কবে নাগাদ আসবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাস্বামী বলেন, ‘টিকা সরবরাহের কী অবস্থা তা জানার জন্যই ভারত যাচ্ছি।

‘যদি ভারতে জোগান বেড়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর আশা কতটুকু, আমি গিয়ে সেটি সম্পর্কে জানতে পারব। চেষ্টা থাকবে, দ্রুত বাংলাদেশকে টিকা দেয়ার। যদি টিকার জোগান বাড়ে তাহলেই এটি সম্ভব হবে।’

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণকাজও পরিদর্শন করেন দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, ‘আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণকাজ করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। এটি ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে, ভারতেরও রপ্তানি বেড়েছে। এটি সবার জন্যই ভালো।’

হাইকমিশনারকে চেকপোস্টে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আক্তার ও আখাউড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর