শাটডাউন শিথিল এবং কোরবানির ঈদের মধ্যে মানুষের অবাধ চলাচলে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তার আহ্বান, আনন্দের ঈদ যেন ট্রাজেডিতে পরিণত না হয়।
রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাপাতালের কোভিড আইসিইউ ও আউটপেসেন্ট ডিপার্টমেন্ট প্রসিডিওর (ওপিডি) উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। সবকিছু খোলে দেয়া হয়েছে। যে কারণে সংক্রমণের হার কিছুটা বাড়তে পারে। যদি আমার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে আশা করি সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।
‘ঈদে যে আনন্দ, সেই আনন্দ মানুষ করতে পারবে। যে কারণে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। ঈদের আনন্দ জানি দুঃখে পরিণত না হয়ে যায়। ট্রাজিডিতে পরিণত না হয়ে যায়। আমাদের একজন আপনজনও যাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ না করে সেই দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে যাবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সংক্রমণ হার কমাতে না পারলে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার জায়গা হবে না। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হবে, অর্থনীতির ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
সংক্রমণ বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বেড়ে যায়। গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে তেমন সচেতন নয়। যে কারণে এখন সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে। গ্রামের মানুষ মাস্ক পরে না। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চায় না। যে কারণে গ্রামে মানুষ করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক বেশি মারাও যাচ্ছে। এখন বয়স্করা বেশি মরা যাচ্ছে। দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের ৯০ শতাংশের বেশি ৫০ বছরের বেশি বয়স।
সম্প্রতি সময়ে আগুন লাগায় ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ পুড়ে গিয়েছিল। সেখানে নতুন করে ১০টি আইসিইউ সংযুক্ত করা হয়েছে। এই ১০টি আইসিইউ মিলে ৩৩টি আইসিইউ হলো ঢাকা মেডিক্যালে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, নাসিমা সুলতানা ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।