বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকা গ্রহণের বয়সসীমা ১৮ হচ্ছে

  •    
  • ১৫ জুলাই, ২০২১ ১২:৫২

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এ ব্যাপারে সরকারের কাছে পরামর্শ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে।’

শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসরোধী টিকার আওতায় আনতে টিকা গ্রহণের বয়সসীমা ১৮ বছর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাপাতালের কোভিড আইসিইউ ও আউটপেসেন্ট ডিপার্টমেন্ট প্রসিডিওর (ওপিডি) উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এ ব্যাপারে সরকারের কাছে পরামর্শ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে।’

টিকা গ্রহীতাদের বয়সসীমা ১৮তে নামিয়ে আনার ব্যাপারে আগেই সুপারিশ করেছে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এ বিষয়ে কমিটি থেকে বুধবার একটি বিবৃতিও পাঠানো হয়।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এতদিন শুধু ৩৫ বছরের বেশি বয়সীরাই নিবন্ধন করতে পারতেন।

বিবৃতিতে টিকার আওতায় দ্রুত আরও বেশি মানুষকে আনতে টিকার গ্রহীতাদের বয়সসীমা ১৮তে নামিয়ে আনা, এনআইডিবিহীন জনসাধারণকে টিকার আওতায় আনা, রেজিস্ট্রেশন সহজীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইমাত্র জানালেন, টিকা নেয়ার বয়সসীমা কমিয়ে আনার জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তিনিও কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত পরামর্শক কমিটিও কাল এই বিষয়ে সুপারিশ করেছে। ১৮ বছর বয়সের ওপরের জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার জন্য।

১৮ বছর বয়সী পর্যন্ত টিকা দেয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের টিকা নিশ্চিত করে তাড়াতাড়ি স্কুল-কলেজে পাঠাতে চাই। এর মধ্যে শিক্ষকদের আমরা টিকা নিশ্চিত করেছি। তারা অনেকেই টিকা নিয়েছেন।

‘এখন ১৮ বছরের ওপরের ছেলেমেয়েদের আমরা টিকার আওতায় নিয়ে আসব। এবং তাদের স্কুল-কলেজে যাওয়ার সুযোগ করে দেব। কারণ, তাদের জীবনের বড় একটা অধ্যায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা স্কুল যেতে পারছে না। সেটা একটা দেশের জন্য বিরাট ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। সে জন্যই এই ব্যবস্থা আমরা হাতে নিয়েছি।’

দেশে এখন আর কোনো টিকার সংকট নেই বলে দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। তিনি জানান, চীন থেকে সম্প্রতি ২০ লাখ টিকা এসেছে। এই টিকার বাইরে দেশটি থেকে আরও দেড় কোটি টিকা আসবে। পাশাপাশি কোভ্যাক্স থেকে চলতি মাসেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নার টিকা আসবে।

দেশে বর্তমানে ৩ কোটি টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা আসা শুরু হওয়ায় টিকা সংরক্ষণের জন্য সরকার নতুন করে পরিকল্পনা করছে। নতুন ফ্রিজ কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

টিকা কার্যক্রম ভালোভাবে চালু হয়েছে এমন দাবি করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘টিকা সংকটের কারণে কিছুদিন গণটিকা কার্যক্রম ব্যাহত হলেও আবার টিকা কার্যক্রম ভালোভাবে শুরু করতে পেরেছি।

‘টিকা নিতে বা নিবন্ধন করতে যাদের কষ্ট হয় তাদের বিষয়টিও আমাদের মাথায় আছে। বিশেষ করে গ্রামের লোকদের, যারা নিবন্ধন করতে পারেন না তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে।’

করোনা মোকাবিলায় আরও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘দেড় বছর ধরে আমরা করোনা মোকাবিলায় কাজ করছি। এর মধ্যে ৫০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে চার হাজার নার্স ও দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা তাদের নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করতেছি। এ ছাড়া, টেকনিশিয়ান নিয়োগেরও প্রক্রিয়া চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর