করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দেয়ার বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ তে নামিয়ে আনার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এমন সুপারিশ করেন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এতদিন শুধু ৩৫ বছরের বেশি বয়সীরাই নিবন্ধন করতে পারতেন।
এতে বলা হয়েছে, সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের দেশে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রাপ্তি সম্ভব হয়েছে এবং আবারও সারাদেশে একযোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
বিবৃতিতে টিকার আওতায় দ্রুত আরও বেশি মানুষকে আনতে টিকার বয়সসীমা ১৮ তে নামিয়ে আনা, এনআইডিবিহীন জনসাধারণকে টিকার আওতায় আনা, রেজিস্ট্রেশন সহজীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ করা হয়।
যে প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সুরক্ষা অ্যাপে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। ফোন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, নাম, জন্মতারিখের পাশাপাশি কোনো শারীরিক জটিলতা আছে কি না, পেশা কী তাও জানাতে হবে।
স্মার্টফোনে ইন্টারনেট থাকলে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। অ্যাপে তথ্য দিলে টিকার আপডেট সম্পর্কে গ্রহীতাদের এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ টিকা বিতরণে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
দেশে প্রথম দফায় টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৮০ হাজার ১৩১ জন। এর মধ্যে দুই ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছেন ৪২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৪ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেতে বাকিদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।