সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করতে আসা রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টার দাঁড়িয়ে থাকলেও পাচ্ছেন না চিকিৎসক।
দ্বিতীয়বারের জন্য করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করানো হচ্ছে না বলেও অভিযোগ রোগীদের।
এ ছাড়া হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার এলাকা ও আউটডোরগুলোতে গাদাগাদি করে স্লিপ নিচ্ছেন রোগীরা। এতে করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে কয়েক গুণ।
অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে নিজেদের ভোগান্তির কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন করোনা পরীক্ষা করাতে আসা রোগীদের অনেকে।
৭ জুলাই ‘আমরা সাভারবাসী’ নামে একটি গ্রুপে পুরো পরিবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান এক ব্যক্তি। এ সময় করোনা পরীক্ষা করতে সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা অনিয়ম ও রোগীদের ভোগান্তির কথা লেখেন ওই গ্রুপে। পরে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় সাভার পৌর এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনিয়ম নিয়ে লেখার বিষয়ে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম প্রায় এক মাস আগে। আর স্ট্যাটাসটা দিয়েছি অনেক দিন পর। নীতিনির্ধারক যারা আছেন তাদের চোখে যেন বিষয়টা পড়ে।’
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করাতে সপরিবারে এসেছেন মো. শোয়াইব। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার আম্মা মারা গেছেন হাসপাতালে। তারপর থেকেই আমাদের জ্বর, স্বর্দি, কাশি টুকটাক লেগেই আছেই। এ জন্য এখানে এসেছিলাম করোনা পরীক্ষা করাতে। কিন্তু এখানকার যে পরিস্থিতি আমরা দেখতে পাচ্ছি, এতে করে আমার কোভিড না থাকলেও হয়ে যাবে। আমার সামনে কাশছে একজন। সামাজিক দূরত্ব বলতে কিছু নেই।’
তৈয়বুর রহমান নামের একজন বলেন, ‘১ জুলাই রাজধানীর শান্তিনগরে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করানোর পর আমার পজিটিভ আসে। আমি আজকে এখানে আসছি পরীক্ষা করাতে। এখন ওনারা বলতেছে, জ্বর না থাকলে টেস্ট করা যাবে না। দ্বিতীয়বার এখানে টেস্ট হয় না।’
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, ‘সাভার উপজেলায় ৭০ লাখের বেশি মানুষ। এখানে ২ হাজারের বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১২০০ রোগী দেখা হয়। যতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মানা দরকার ততটুকু পারছি না। কারণ আমাদের সেই জনবল নেই। আনসার সদস্য থাকলে রোগীরা লাইনে থাকত।’
ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তো চেষ্টা করি। রোগীদের তো কম আসতে বলা যায় না, ফেরতও দেয়া যায় না। তারপরও আমরা চেষ্টা করতেছি।’