বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শনাক্ত নতুন উচ্চতায়, মৃত্যু আরও ২২০

  •    
  • ১২ জুলাই, ২০২১ ১৭:৩৫

দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৭ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩৯ জনের। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪২ জন ও নারী ৮৭ জন। এর মধ্যে একটি শিশু। অন্যদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ৯, ত্রিশোর্ধ্ব ১৭, চল্লিশোর্ধ্ব ২৬, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৬ ও ষাটোর্ধ্ব ১২১ জন।

ঈদ উপলক্ষে যখন চলমান বিধিনিষেধ বা শাটডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেদিন করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ শনাক্তের তথ্য জানাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু আবার ছাড়িয়ে দুইশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যৃ হয়েছে ২২০ জনের। আর রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের দেহে ধরা পড়েছে প্রাণঘাতি ভাইরাসটির অস্তিত্ব।

আগের দিন এই সংখ্যাটি ছিল ১১ হাজার ৮৭৪ জন। অর্থাৎ এক দিনেই শনাক্ত বেড়েছে প্রায় দুই হাজার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৭ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩৯ জনের।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪২ জন ও নারী ৮৭ জন। এর মধ্যে একটি শিশু। অন্যদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ৯, ত্রিশোর্ধ্ব ১৭, চল্লিশোর্ধ্ব ২৬, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৬ ও ষাটোর্ধ্ব ১২১ জন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। এরপরই রয়েছে খুলনা বিভাগ, ৫৫ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৩৭ জন, রাজশাহীতে ২৩, বরিশালে ৪, সিলেটে ৬, রংপুরে ১৮ ও ময়মনসিংহে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনার রোগী এখন ঢাকার বাইরে বেশি। মৃত্যুও বেশি হচ্ছে মফস্বলে

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬১৩টি ল্যাবে করোনার ৪৪ হাজার ১৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর আগে এত পরীক্ষা দেশে হয়নি। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৭ হাজার ২০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৮১ হাজার ৫০১ জন। সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।

করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। উদ্বেগ থাকলেও প্রথম কয়েক মাসে ভাইরাসটি সেভাবে ছড়ায়নি।

তবে মে মাস থেকে ব্যাপকভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তখন আক্রান্তের হটস্পট ছিল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের মতো জনবহুল শহরগুলো।

গত শীতে দ্বিতীয় ঢেউ আসার উদ্বেগ থাকলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু- দুটোই কমে আসে। এক পর্যায়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে যায়। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় মহামারি নয়, নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি। তবে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতে করোনার নতুন ধরনের কথা জানা যায়।

করোনার বিস্তার ঠেকাতে ১ জুলাই থেকে শাটডাউনে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। তবে ঈদ উপলক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য শিথিল হবে বিধিনিষেধ

পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় গত ২২ জুন থেকে ঢাকাকে ঘিরে রাখা সাত জেলায় যান চলাচল বন্ধ করে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতেও কাজ না হওয়ায় ১ জুলাই থেকে শুরু হয় শাটডাউন। সরকার জনগণের চলাচল রোধে এবার যে কঠোর, তার প্রমাণ মেলে সেনাবাহিনী মোতায়েনেই।

অকারণে বাড়ির বাইরে আসায় প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণ জরিমানা আদায় করা হচ্ছে; কেবল ঢাকায় আটক করা হচ্ছে কয়েক শ মানুষকে। শাটডাউন প্রথমে সাত দিনের জন্য দেয়া হলেও পরে তা বাড়ানো হয়েছে আরও সাত দিন।

এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মধ্যে আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে চলমান শাটডাউন শিথিল করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শর্ত সাপেক্ষে চালু করা হবে বাসসহ গণপরিবহন। খোলা হবে দোকানপাট।

১৫ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত শাটডাউন শিথিলের আদেশ কার্যকর থাকবে। ঈদের পর আবার দুই সপ্তাহের শাটডাউনে যাবে দেশ।

এ বিভাগের আরো খবর