করোনা ও উপসর্গ নিয়ে খুলনায় ১৭, রাজশাহীতে ১৪, কুষ্টিয়ায় ১৫, ময়মনসিংহে ১৭ ও চট্টগ্রামে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা
খুলনায় ৪ হাসপাতালে এক দিনে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০, জেলা জেনারেল হাসপাতালে ৩ জন, গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন ও আবু নাসের হাসপাতালে ১ জন।
ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, এ হাসপাতালে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনায় ৫ ও উপসর্গ নিয়ে ৫ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া এ হাসপাতালে ১৯৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে রেড জোনে ১২৫, ইয়ালো জোনে ৩৪, এইচডিইউতে ২০ ও আইসিইউতে ২০ জন।
নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০ জন।
গাজী মেডিক্যালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, এই হাসপাতালে ১২৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এক দিনে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ জন।
জেলা জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র আবু রাশেদ জানান, এই হাসপাতালে মোট রোগী রয়েছেন ৭৬ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ২০ জন; বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন।
আবু নাসের হাসপাতালের মুখপাত্র প্রকাশ দেব নাথ জানান, এখানে ৪৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এখানে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৪ জন; বাড়ি ফিরেছেন ১ জন।
রাজশাহী
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত ১৪ জনের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ ও উপসর্গে ৮ জন মারা গেছেন। করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে রাজশাহীর ৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ জন, নাটোরের ৪, পাবনা ১, নওগাঁর ২ জন।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জন নারী, ৯ জন পুরুষ।
হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৬৪ রোগী। আর এ সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৮ জন।
বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ৪৫৪টি করোনা ডেডিকেটেড শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৫১৭ জন।
কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন জানান, কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ১৪ ও কুমারখালীতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ৯ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে বর্তমানে ১৯৪ করোনা পজিটিভ রোগী এবং উপসর্গ নিয়ে ৭৪ জন ভর্তি আছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এক দিনে ১ হাজার ১৫ নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ২৭৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে সুস্থ হন ১৩৮ জন।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৫৮২ জন।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন করোনা শনাক্ত হয়ে ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন মহিউদ্দিন খান মুন জানান, বর্তমানে করোনা ইউনিটে ৪১৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২১ জন।
নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৬৬ জন। এ ছাড়া এক দিনে ৯১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
মহিউদ্দিন খান আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছেন ৩৪ জন ও ওয়ানস্টপ ফ্লু কর্নারে সেবা নিয়েছেন ৩১৫ জন।
জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম জানান, জেলায় নতুন ৮১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ২৩ শতাংশ।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ফের সর্বোচ্চসংখ্যক ৮২১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮২১ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
যা এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ আক্রান্ত। এর আগে ৯ জুলাই সর্বোচ্চ ৭৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
নতুন শনাক্তের মধ্যে ৫২৭ জন নগরে এবং ২৯৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট করোনায় শনাক্ত ৬৫ হাজার ৮২৯ জন।
এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ জন। এর মধ্যে ৩ জন নগরের ও ৬ জন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের।