অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশে চলতি বছরে এই প্রথম করোনাভাইরাসে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
গত ১০ মাসে প্রথমবারের মতো প্রদেশটিতে করোনা-সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগে কারও মৃত্যু হলো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনিতে নব্বইয়ের কোঠায় থাকা ওই নারীর মৃত্যু হয়। পরিবারের কারও মাধ্যমে তিনি সংক্রমিত হন।
এ নিয়ে শুধু নিউ সাউথ ওয়েলসেই করোনায় ৫৭ জন প্রাণ হারাল।
শনিবার প্রদেশটিতে আরও ৭৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ মুহূর্তে ৫২ করোনায় আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে রয়েছে।
এদের মধ্যে ১৫ রোগীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
করোনার অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় সিডনিতে এখন লকডাউন চলছে।
সোমবারের দিকে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে বলে সতর্ক করেছেন নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান।
রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘কাল এবং পরবর্তী দিনগুলোতে পরিস্থিতি আজকের চেয়ে আরও খারাপ হতে পারে।’
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি মানুষের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এতে মৃত্যু হয় ৯১১ জনের।
করোনা ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তর সিডনি, ওলংগং ও সেন্ট্রাল কোস্ট অঞ্চলের ৫০ লাখের বেশি বাসিন্দাকে প্রয়োজন ছাড়া সার্বক্ষণিক ঘরে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার এ বিধিনিষেধ তুলে ফেলার কথা ছিল। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, লকডাউনের কারণে পরিবার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অসুবিধা ও ক্ষতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। বিষয়টি তারা অনুধাবন করতে পারছে। তবে ভাইরাস মোকাবিলায় এ ছাড়া কিছু করার নেই।
১০ শতাংশের কম অস্ট্রেলিয়াবাসী করোনা প্রতিরোধী টিকার সব ডোজ নিয়েছে।
টিকা সরবরাহে ঘাটতি, বিশেষ করে ফাইজারের টিকার সরবরাহ ঠিকমতো না হওয়ায় চলতি বছরের শেষ কয়েক মাসের আগে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা করোনার টিকা পাচ্ছেন না।