করোনাভাইরাসের তীব্র সংক্রমণের মধ্যেও টানা সেবা দিয়ে আসা দেশের সমুদ্র ও স্থলবন্দরের কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড-১৯ রোধী টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোববার দুপুরে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘দেশের সমুদ্র ও স্থলসহ সকল বন্দরে যারা কাজ করছেন, তারা ফার্স্ট প্রায়োরিটির তালিকায় আছে। তাদের আমরা ভ্যাকসিনেট করে ফেলব। এখানে অনেক দক্ষ লোকজন কাজ করেন। তারা যদি কোনো কারণে আক্রান্ত হয়ে যান, তাহলে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।’
নৌখাত-সংশ্লিষ্টদের করোনা প্রতিরোধী টিকার আওতায় নিয়ে আসায় ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বুধবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।’
শুরুতে ১২ হাজার কর্মীকে এ টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘সবাইকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। এটা চলমান থাকবে। এই কার্যক্রম বন্ধ হবে না। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগস্ট থেকে প্রচুর পরিমাণ ভ্যাকসিন আসছে। তাহলে আর সমস্যা হবে না।’
কোথায় কত টিকা দেয়া হবে সেটা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল সমুদ্র ও স্থলবন্দরগুলো ঝুঁকি নিয়েই শুরু থেকে সেবা দিয়ে আসছে। গত বছরের ২৬ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও, কখনও থেমে থাকেনি বন্দরের কার্যক্রম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দিচ্ছে। সাপ্লাই চেইনটা অব্যাহত রেখেছে।’
ফেব্রুয়ারিতে দেশজুড়ে প্রথম ধাপে গণটিকা শুরু হলে মন্ত্রণালয় থেকে নৌ খাত-সংশ্লিষ্টদের জন্য টিকা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এরা কিন্তু একদম দৃশ্যমান না হলেও পেছন দিক থেকে ফ্রন্টলাইনে কাজ করছেন। কাজেই এটা খুবই জরুরি। তো এ ব্যাপারে আমরা পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’