করোনা ও উপসর্গ নিয়ে খুলনায় ২৭, ময়মনসিংহে ১৪, ঝিনাইদহে ১৩, চট্টগ্রামে ১০ ও বগুরায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা
জেলায় ৪ হাসপাতালে এক দিনে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১১, জেলা জেনারেল হাসপাতালে ৫, গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০ ও আবু নাসের হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পারসন সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, এ হাসপাতালে মৃতদের মধ্যে করোনায় ৭ ও উপসর্গ নিয়ে ৪ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া এ হাসপাতালে ১৮৫ রোগী ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে রেড জোনে ১২৬, ইয়েলো জোনে ৩১, এইচডিইউতে ১৯ ও আইসিইউতে ১৯ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯ জন।
গাজী মেডিক্যালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, এই হাসপাতালে মৃত ১০ জনের মধ্য খুলনার ৭ ও যশোরের ৩ জন। হাসপাতালে ১২৯ জন ভর্তি রয়েছেন। এক দিনে নতুন ৩৬ রোগী ভর্তি হয়েছেন । সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন।
জেলা জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র আবু রাশেদ জানান, এ হাসপাতালে মৃত ৫ জনের মধ্যে খুলনার ৪ ও নড়াইলের ১ জন। এ হাসপাতালে মোট রোগী রয়েছেন ৭১ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন; বাড়ি ফিরেছেন ১৬ জন।
আবু নাসের হাসপাতালের মুখপাত্র প্রকাশ দেবনাথ জানান, এ হাসপাতালে মৃত ১ জনের বাড়ি বাগেরহাটে। ৪৫ জন রোগী ভর্তি যার মধ্যে আইসিইউতে ১০ জন। এখানে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫ জন; বাড়ি ফিরেছেন ৩ জন।
ঝিনাইদ
গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাইদহ করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৬২ জন।
সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, জেলা সদর হাসপাতালে ৯ জন ও শৈলকুপায় মারা গেছেন ১ জন। এ ছাড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৩ জন।
এদিকে জেলায় নতুন করে ১৬২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ৪৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ ফলাফল এসেছে। আক্রান্তের হার ৩৬ দশমিক ৬৫ ভাগ।
এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ৪৮২। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন। বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন ১২৩ জন।
চট্টগ্রাম
সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৭৭৮ জন। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ২৮ শতাংশ।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি জানান, নতুন ১০ জনসহ এই নিয়ে জেলায় করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫৪। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৬৯৬।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত ১৪ জনের মধ্যে ৬ জন করোনা শনাক্ত হয়ে ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন মহিউদ্দিন খান মুন জানান, বর্তমানে করোনা ইউনিটে ৩৮৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২০ জন। নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫১ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪ জন।
জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম জানান, এক দিনে নতুন করে ৬৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় আক্রান্তের হার ২৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
বগুড়া
বগুড়ায় তিন হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৯ জন ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও ৬ জন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৯ জনই বগুড়ার বাসিন্দা।
বগুড়ার সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার সাজ্জাদ-উল-হক শুক্রবার সকালে এ সব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫১২টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ১৭০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ২০ শতাংশ। বর্তমানে ১ হাজার ৬২৭ জন চিকিৎসাধীন।
জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৪২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৪৫ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৫৫ জনের।