করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনা ইউনিটে সাধারণ শয্যা ও আইসিইউ সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিনের কার্যক্রম বিষয়ে নিউজ লেটার প্রকাশ অনুষ্ঠানের এ তথ্য জানান।
উপাচার্য বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের করোনা সেন্টারের সাধারণ শয্যা সংখ্যা এবং আইসিইউ সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।’ ‘সি ব্লকে নন-কোভিড রোগীদের জন্য আইসিইউ ইউনিট চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতার ভবনে করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সঙ্গে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এটি শনাক্ত করতেও প্রতিনিয়ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে।’
দেশেই করোনা টিকা উৎপাদন হবে এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন দেখেন তা বাস্তবায়ন করেন। ইতোমধ্যে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশে অবশ্যই করোনাভাইরাস টিকা উৎপাদন হবে।’
‘করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি আছে। ইনশাল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হবো।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।