বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অক্সিজেন, করোনা রোগীর শয্যা বাড়ানোর নির্দেশ

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২১ ১২:১২

সারা দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরি করণীয় ও চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে ভিডিও কনফারেন্স হয়। ওই সময় করোনার উপসর্গ বা লক্ষণযুক্ত সব ব্যক্তিকে অবশ্যই ঘরে থাকার অনুরোধ জানান মুখ্যসচিব। প্রয়োজনে তাদের স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আইসোলেশন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন তিনি।

হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি ও করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীদের শয্যা সংখ্যা বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।

বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সব বিভাগ ও জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

সারা দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরি করণীয় ও চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে এ ভিডিও কনফারেন্স হয়।

ওই সময় করোনার উপসর্গ বা লক্ষণযুক্ত সব ব্যক্তিকে অবশ্যই ঘরে থাকার অনুরোধ জানান মুখ্যসচিব। প্রয়োজনে তাদের স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আইসোলেশন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন তিনি।

এ ছাড়াও অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধিসহ হাসপাতালগুলোতে করোনার রোগীদের শয্যা সংখ্যা বাড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনাও দেন তিনি।

গত এপ্রিলে করোনার দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ রুখতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। শনাক্তের সংখ্যা, শতকরা হার প্রতিদিন যেমন বেড়েই চলেছে, তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।

করোনার ইতালীয় ধরনের পর যুক্তরাজ্য ও সাউথ আফ্রিকান ধরনের তুলনায় ভীতি জাগানিয়া ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যেমন ছড়াচ্ছে বেশি, তেমনি মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনেকের মধ্যে অনীহা স্পষ্ট।

আর করোনার প্রথম ঢেউ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রথম দিকে বড় শহর এলাকায় রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও এবার আক্রান্ত হচ্ছে মফস্বল বা গ্রামের মানুষ।

গত ১ জুলাই থেকে শাটডাউন শুরুর পরদিন ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪৩ জন। এরপর তা বেড়ে ১৫৩ জন হয় গত ৪ জুলাই। ৫ জুলাই জানানো হয় ১৬৪ জনের মৃত্যুর তথ্য।

পরদিন মৃত্যু ছিল ১৬৩ জনের। আর বুধবার এক লাফে মৃত্যু ছাড়িয়ে যায় দুই শর ঘর। মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয় ২০১ জনের।

মৃত্যুর পাশাপাশি বাড়ছে শনাক্ত আর পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের শতকরা হার।

১ জুলাই ৮ হাজার ৩০১ জন শনাক্তের কথা জানায় সরকার। আগের সেই ২৪ ঘণ্টায় যতজন পরীক্ষা করেছিলেন, তাদের মধ্যে শনাক্তের হার ২৫.৯০ শতাংশ।

৪ জুলাই সরকার জানায়, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে মোট ৮ হাজার ৬৬১ জন। আর নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮.৯৯ শতাংশ।

পরের দিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৯৬৪ জন। আর শনাক্তের হার আরেকটু বেড়ে হয় ২৯.৩০ শতাংশ।

৬ জুলাই শনাক্তের সংখ্যা প্রথমবারের মতো ছাড়ায় ১০ হাজার। সেদিন আগের ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৫২৫ জন শনাক্ত হয়। শতকরা হার ছিল ৩১.৪৬ শতাংশ। আর ২০১ জনের মৃত্যুর দিন শনাক্ত হয় ১১ হাজার ১৬২ জন। শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৩১.৩২ শতাংশ।

গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার অপ্রতুলতা, শয্যা, বিশেষ করে অক্সিজেন সরবরাহে অবকাঠামোর ঘাটতি আর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউর অভাবের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এই এক বছরে শয্যা বা আইসিইউ যত বাড়ানো হয়েছে, তার বেশিরভাগ প্রধান শহরগুলোতে। মফস্বলে শয্যা পাঠালেও বিশেষজ্ঞের অভাব বা টেকনিশিয়ান না থাকায় আইসিইউ ইউনিটগুলো চালু করা যায়নি। সেই সঙ্গে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়নি।

এরই মধ্যে সাতক্ষীরা, বগুড়া, কুষ্টিয়ায় পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছে গণমাধ্যমে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অক্সিজেনের চাহিদা মেটানোর মতো সক্ষমতা এখনও আছে। তবে সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে।

শয্যা আর আইসিইউর মতোই অক্সিজেনের সরবরাহও শহরকেন্দ্রিক। মফস্বলের হাসপাতালে সেন্টাল অক্সিজেন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। আর গ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকার সমস্যারও যেন কোনো সমাধান নেই।

এ বিভাগের আরো খবর