বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা চিকিৎসায় ‘মল থেরাপিতে’ সাফল্য দাবি

  •    
  • ৭ জুলাই, ২০২১ ২০:০৬

দুই রোগীই অন্ত্রে জটিল সংক্রমণে ভুগছিলেন। তাদের মধ্যে ৮০ বছর বয়সী এক জন ছিলেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত, আর ১৯ বছরের আরেক জনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল অত্যন্ত দুর্বল। হাসপাতালে ভর্তির পর অন্ত্রের চিকিৎসা হিসেবে তাদের মল থেরাপি দেয়া হয়।

কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীদের সারিয়ে তুলতে মল থেরাপি বেশ কার্যকর হতে পারে বলে মনে করছেন পোল্যান্ডের এক দল বিজ্ঞানী। এ বিষয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর অনুমতিও চেয়েছেন তারা।

পোল্যান্ডের দুটি হাসপাতালে দুই জন রোগী মল থেরাপির পর দ্রুত করোনা থেকে সেরে ওঠার পর আরও বড় পরিসরে এই গবেষণা চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্স অ্যালার্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই দুই রোগীই অন্ত্রে জটিল সংক্রমণে ভুগছিলেন। তাদের মধ্যে ৮০ বছর বয়সী এক জন ছিলেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত, আর ১৯ বছরের আরেক জনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল অত্যন্ত দুর্বল।

হাসপাতালে ভর্তির পর অন্ত্রের চিকিৎসা হিসেবে তাদের মল থেরাপি দেয়া হয়। বিশ্বের বহু দেশেই অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার জটিল সংক্রমণ দূর করতে এ ধরনের চিকিৎসা অনুমোদিত। এ ধরনের চিকিৎসায় অসুস্থ ব্যক্তির অন্ত্রে কোনো সুস্থ ব্যক্তির মল প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাকটেরিওথেরাপি নামেও পরিচিত।

পোল্যান্ডে দুজন রোগীকে এই থেরাপি দেয়ার সময় চিকিৎসকেরা জানতেন না, তারা করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত। তবে মল থেরাপির কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের দুজনের শরীরে কোভিড ১৯ এর লক্ষণগুলো প্রকট হতে শুরু হয়।

চিকিৎসকেরা জানান, দুজনেরই স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা থাকার পরেও করোনা তাদের খুব একটা কাবু করতে পারেনি এবং দুই দিনের মধ্যে তাদের জ্বর পুরোপুরি সেরে যায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কাকতালীয়ভাবে পাওয়া এমন ফল করোনা চিকিৎসায় মল থেরাপির সম্ভাবনা সম্পর্কে আশা তৈরি করেছে।

কোভিড আক্রান্ত রোগীর মলে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব প্রায় ২৮ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে ওই দুই রোগীর মলের নমুনা পরীক্ষায় ভাইরাসের তুলনামূলক দ্রুত বিদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

১৯ বছরের রোগীর দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকার পরেও তিনি করোনাসংশ্লিষ্ট কোনো চিকিৎসা ছাড়াই একদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

অন্যদিকে, ৮০ বছর বয়সী রোগীকে একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল, যেটি কার্যকর হতে সাধারণত ১০ দিন লাগে। তবে মল থেরাপির দুই দিন পরই তিনি পুরোপুরি জ্বর মুক্ত হন।

বিষয়টি নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি চেয়ে চিঠিতে গবেষকেরা লিখেছেন, ‘আমরা এই কেস দুটি থেকে এই সিদ্ধান্তে এসেছি যে, মলে থাকা মাইক্রোবায়োডেটা থেরাপি নিরাপদ ও অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণসহ যাদের কোভিড ১৯ হয়েছে, তাদের চিকিৎসায় বেশ কার্যকার।’

কয়েক জন গবেষক মনে করছেন, অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম (জীবাণুর বাস্তুসংস্থান) শ্বাসতন্ত্রকেও প্রভাবিত করতে পারে; যা ফুসফসের কোভিড ১৯ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে।

বিশেষজ্ঞরা এই প্রথম কোভিড ১৯ চিকিৎসায় মল থেরাপির প্রস্তাব দেননি। এর আগে প্রাথমিক কিছু রিপোর্টে বলা হয়, কোভিড ১৯ আক্রান্তকে মল থেরাপি দেয়া হলে তা অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য কিছুটা হলেও ফেরাতে পারে। কিন্তু এটাকে চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে নিরাপদে ব্যবহার করা নিয়ে খুব কার্যকর গবেষণা এখনও হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর