রংপুর বিভাগে প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। রোগীর চাপে হাসপাতালে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। এই অবস্থায় নতুন করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একটি ভবনে আরও ৫০ শয্যা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটি।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে বুধবার সকাল ১১টার দিকে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন হিড়ম্ব কুমার রায়।
তিনি বলেন, ‘যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে কোনো উপায় নেই। আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। এক সপ্তাহের মধ্যে এটি চালু করা হবে। প্রয়োজন হলে শয্যা আরও বাড়ানো হবে।
‘নতুন এই ভবনের জন্য ১০টি আইসিইউ বেড চাওয়া হয়েছে। যদিও তাৎক্ষণিক দুটি বেড চালু হবে।’
জানা গেছে, ১০০ শয্যার রংপুর করোনা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতালে জায়গা সংকুলন না হওয়ায় গত ৩ জুলাই রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ শয্যার একটি ইউনিট চালু করা হয়। সেখানে ৪ জুলাই রোগী ভর্তি শুরু হয়। বুধবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত সেখানে ৩৭ রোগী ভর্তি হয়েছেন।
আর করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছেন ৯২ জন। সেখানেও জায়গা নেই। আইসিইউ বেড রয়েছে ১০টি। এরমধ্যে ভেন্টিলেটর সুবিধা রয়েছে ৮টিতে।
রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭১ জন। এরমধ্যে রংপুরে ৯২, পঞ্চগড়ে ৪৫, নীলফামারীতে ৫২, লালমনিরহাটে ৪২, কুড়িগ্রামে ৫৯, ঠাকুরগাঁওে ১০৮, দিনাজপুরে ১১১, গাইবান্ধায় ৬২ জন।
আর মারা গেছেন ১৪ জন। এরমধ্যে রংপুরে ২, নীলফামারী ১, লালমনিরহাটে ২, কুড়িগ্রামে ১, ঠাকুরগাঁওয়ে ৪, দিনাজপুরে ৩, গাইবান্ধায় ১ জন।
বিভাগে শনাক্তের হার ৪০ শতাংশ। আর সুস্থতার হার ৭২ শতাংশ।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আক্রান্তের ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যেই রোগিরা ঝুঁকির মধ্যে চলে যাচ্ছেন। যেসব রোগী ভর্তি হচ্ছেন তার ৯০ ভাগের অবস্থাই খারাপ। অক্সিজেন দিতে হচ্ছে।
রংপুর করোনা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতালের ইনচার্জ নুর উন নবী বলেন, ‘এখানে যারা ভর্তি আছেন আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে। চিকিৎসায় কোনো ধরনের গাফলতি হচ্ছে না। তবে, আইসিইউ বেড বাড়ানো প্রয়োজন।’