বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোভ্যাক্সের ৩৫ লাখ টিকা এ মাসেই

  •    
  • ৭ জুলাই, ২০২১ ১৫:৪৭

কোভ্যাক্সের টিকাগুলো জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা হয়েছে। উনারা অন্য দেশকে দিয়েছেন। আমি সে কথা তুলে ধরেছি। তিনি এরপর আমাকে বলেছেন, আমাদেরও তারা দেবেন।’

টিকার সুষম প্রাপ্তি নিশ্চিতের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ৩৫ লাখ ডোজ টিকা চলতি মাসেই দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ টিকা আসার কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন চালান আসার কথা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা এখন মোটামুটি একটা ভালো অবস্থানে আছি। এখন আমরা মোটামুটি একটা লাইনআপ দাঁড় করিয়েছি। আমাদের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে। চুক্তি হচ্ছে; ভ্যাকসিন আসছে।

‘গত সপ্তাহেই আমাদের ৪৫ লাখ ডোজ আসল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আসল ২৫ লাখ ডোজ এবং চায়না থেকে আসল আমাদের পয়সা দিয়ে কেনা ২০ লাখ ডোজ, যেগুলো সিনোফার্মের ভ্যাকসিন। ফাইজার আমরা দিচ্ছি; মডার্না শুরু হয়েছে।’

বক্তব্যে চীন থেকে টিকা আসার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “আগামী তিন মাসে চায়না থেকে আরও যেগুলো আসবে, আমরা তা কনফার্ম করে ফেলেছি। এ ছাড়া আরও আসবে। তারা আমাদের বলেছে, ‘তোমাদের কত লাগবে আমাদের বলো।’ তারা একটা তারিখও জানিয়ে রেখেছে।

“আগেভাগে বলতে হবে। কারণ অনেক মানুষ এই ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫ লাখ ডোজ এসেছে। আরও আসবে বলে তারা আমাদের কথা দিয়েছে।”

কোভ্যাক্সের টিকাগুলো জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা হয়েছে। উনারা অন্য দেশকে দিয়েছেন। আমি সে কথা তুলে ধরেছি। তিনি এরপর আমাকে বলেছেন, আমাদেরও তারা দেবেন। তবে প্রকৃত সংখ্যাটা আমাকে বলেন নাই। তবে দেবেন বলেছেন। এই সপ্তাহেই উনারা দেবেন। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে সেটা আসবে।

‘ধরেন আড়াই মিলিয়ন (২৫ লাখ) ডোজ আমরা পাব। এ ছাড়াও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকেও আসা শুরু হবে। এগুলো সবই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। কারণ আমরা শুরু থেকে এই টিকাই চেয়ে এসেছি। এইসব বড় বড় দেশের লোকেরা বহু ধরনের ভ্যাকসিন কিনে রেখেছে।’

যুক্তরাষ্ট্র অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকা দিতে পারেনি। এ জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে। কারণ তাদের এফডিএ (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এটা অ্যাপ্রুভ করেনি।

‘এক্সপোর্টের জন্য এই অ্যাপ্রুভ প্রয়োজন হয়। এটা তাদের আইন। অ্যাপ্রুভ হলে তারা আমাদের দেবে বলে কথা দিয়েছে।’

টিকা পেতে বাংলাদেশের তৎপরতা নিয়ে মোমেন বলেন, ‘অনেক কোম্পানির সঙ্গে আমরা কথা বলে রেখেছি। আমরা কেনার জন্য কথা বলছি। চায়না থেকে কেনার জন্য আমরা দুটো কোম্পানিকে সিলেক্ট করেছি। একটা তো সিনোফার্ম, অন্যটি হলো সিনোভ্যাক।

‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে কেনার বিষয় চূড়ান্ত করেছি। আমরা কো-প্রোডাকশনের (যৌথ উৎপাদন) বিষয়েও কথা বলছি। সেটা চীন ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গেই। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোও এ জন্য প্রস্তুত।

‘এটারও আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। তাই ভবিষ্যতে ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’

টিকা কেনার যথেষ্ট টাকা মজুত আছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বড় সুখের কথা হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিনের জন্য আলাদা করে টাকা রেখেছেন এবং বলেছেন, ভ্যাকসিনের জন্য টাকার অভাব হবে না।’

‘চীনের দেড় কোটি ভ্যাকসিন তিন মাসে’

মন্ত্রী বলেন, ‘চীন থেকে তিন মাসের মধ্যে দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসবে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ, যেটা ভারতের কাছে চেয়েছিলাম। এর বাইরে নেয়ার জন্য তাদের সঙ্গে আলাদা চুক্তি করতে হবে। তারা চুক্তির কথা আমাদের জানিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ৮০ ভাগ নাগরিককে ভ্যাকসিন দিতে চাই। সে হিসেবে আমাদের ২৬ কোটি টিকার প্রয়োজন হবে। এটা বড় মার্কেট; অনেক টাকার বিষয়। আমরা এটা করব।

‘সুখবর হলো আমাদের দেশের জনসংখ্যার বেশির ভাগই ইয়াং। তাদের হয়তো ভ্যাকসিন লাগবে না।’

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রাপ্তি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত কখনোই আমাদের বলেনি তারা আমাদের ভ্যাকসিন দেবে না। তারা দেবে। কিন্তু আপাতত ডেলিভারি করতে পারছে না। তাদের অবস্থার উন্নতি হলেই ডেলিভারি শুরু করবে। আমরা আশাবাদী তাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন পাব।’

বাংলাদেশ সরকার ও বেক্সিমকোর সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, সিরাম থেকে তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ। তবে সিরাম এখন পর্যন্ত কেনা টিকার ৭০ লাখ ডোজ পাঠিয়েছে। এর বাইরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩৩ লাখ টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে ভারত।

রপ্তানিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাকি টিকা পাঠাতে পারেনি বলে জানিয়েছে সিরাম।

ভারতের প্রতিষ্ঠানটি থেকে টিকা আসা বন্ধ হওয়ায় বিকল্প পথ খোঁজা শুরু করে বাংলাদেশ। কোভ্যাক্স থেকে বিনা মূল্যের টিকা আনার পাশাপাশি চীন, রাশিয়া থেকে টিকা কিনতে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে ঢাকা।

এমন বাস্তবতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপিয়ানরা আমাদের জানিয়েছে, আমাদের অনেক টিকা দেবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নদের (ইইউভুক্ত দেশগুলো) কথা বলেছেন আমাদের জেনেভার রাষ্ট্রদূত; জানিয়েছেন, তারা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এক মিলিয়ন (১০ লাখ) ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা পাব। এটা এ মাসেই আসবে।’

কোভ্যাক্স থেকে টিকা প্রাপ্তিতে কোনো সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যখন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি, তখনই আমরা ট্যাকাটুকা দিয়ে মেম্বারশিপ শক্ত করছি কোভ্যাক্সের। ফলে আমরা সমস্যায় পড়ব না।’

এ বিভাগের আরো খবর